বাংলাহান্ট ডেস্ক : শোরগোল শুরু হয় জিনপিং নাকি গৃহবন্দি হয়েছেন। যদিও পরে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে প্রকাশ্যে আসেন চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। কিন্তু ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুনর্নিবাচনের আগে যে জিনপিং বেশ চাপে রয়েছেন তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেজিংয়ের রাজপথ ছেয়ে যায় ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানার। পরে জিনপিংয়ের হুমকির চোটে সরিয়ে নেওয়া হয় সেই ব্যানার।
স্টিফেন ম্যাকডনেল নামের এক সাংবাদিক একটি ছবি শেয়ার করেন টুইটারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেজিংয়ের থার্ড রিং রোড ব্রিজে ঝুলছে ওই ব্যানার। পাশে আগুনও জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক কী লেখা হয়েছে ওই ব্যানারে? সেখানে লকডাউনের সমাপ্তি চেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘আমরা ক্রীতদাস হতে চাই না। ভোট দিতে চাই।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, চাই খাবার। লকডাউন চাই না, চাই স্বাধীনতা।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পার্টি কংগ্রেসে আগে যতই নিজেকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরুন জিনপিং, তাঁকে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হতে পারে। আবার কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে আরও ক্ষমতার অধিকারী হতে চলেছেন তিনি, এমন গুঞ্জনও রয়েছে। ঠিক কী আছে জিনপিংয়ের ভাগ্যে, তা সময় বলবে। কিন্তু তাঁর ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণ’ নীতি তাঁর জনপ্রিয়তার আরও পরিপন্থী হয়ে উঠেছে, এমন ধারণা ক্রমেই জোরাল হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু মরিয়া হয়ে উঠেছে জিনপিং প্রশাসন। কংগ্রেসের আগে যাতে কোনও ভাবেই দেশের করোনা সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া না দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ফের কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাংহাইয়ের মতো শহরে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণাও করেছে চিনা সরকার। কিন্তু এই ধরনের পদক্ষেপে যে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তা নতুন করে পরিষ্কার করে দিল ব্যানারগুলি। পরে তা সরিয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।