বয়স আনুমানিক ৫০ লক্ষ! যেখানে প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন, গুহার আকাশেই তৈরি হয় মেঘ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘গ্রেট ওয়াল অব ভিয়েতনাম (vietnam)’, গুহার (cave) মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ! সেখানে নিজের নিয়মেই চলে প্রকৃতি। ভাবছেন কি সব আবোল তাবোল বলছি! ভিয়েতনাম ও লাওসের সীমান্তে হাং সং ডুং (hang son doong) বা সং ডুং নামে এক গুহা আছে, যা বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

1606636219 5fc352bb6e36f 6

বিশেষত এই চুনাপাথরের গুহার বয়স প্রায় ২০ থেকে ৫০ লক্ষ বছর। ১৯৯১ সালে এক স্থানীয় কৃষক লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা এই গুহাকে আবিস্কার করেন। ভেষজের খোঁজে গভীর জঙ্গলে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে এই গুহাতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। জঙ্গলের মধ্যে তীব্র বেগে নদী বয়ে যাওয়ার শব্দ শুনেই এই গুহার আবিষ্কার করেন ওই কৃষক।

1606636219 5fc352bb85e2a 12

প্রথমটায় দুর্গম উতরাই পেরিয়ে গুহার মধ্যে যাওয়ার সাহস না পেলেও প্রায় ১৮ বছর পর শিকার করতে গিয়ে পথ খুঁজে এই গুহার ভেতরে পৌঁছান। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটিশ কেভ রিসার্চ এর অভিযাত্রীরা ভিয়েতনামের এই গুহা খুঁজে বের করেন। গুহার মুখে বিশাল এক চুনাপাথরের প্রাচীরের সামনে আটকা পড়ে গেলেও হার মানতে চাননি তাঁরা। আবারও পরের বছর অভিযান চালায়।

1606636219 5fc352bb894c9 13

বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গুহা হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই গুহা। প্রায় ৬৬০ ফিট উঁচু, ৪৯০ ফুট চওড়া এবং ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই গুহার ছাদে দু’টি বিশাল সিঙ্কহোল আছে। সেখান থেকেই আলো প্রবেশ করার ফলে সেখানে অন্য এক জগত গড়ে উঠেছে। অন্য এক আবহাওয়া সেখানে। গুহার ভেতরে জলীয় বাস্প থাকায় আকাশে মেঘ তৈরি হয়।

1606636219 5fc352bb7ecd5 10

ধীরে ধীরে এই গুহার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে সেখানে অল্প অল্প করে পর্যটকও যেতে শুরু করেছেন। তারউপর পথ অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার কারণে মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে সবল ব্যক্তিদেরই সেখানে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। তবে পরিবেশবিদদের মতে পর্যটক সংখ্যা বাড়লে, সেখানকার পরিবেশ নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর