আবার এক নারী যোগ! এক মহিলার ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন পার্থ, ছিল প্রক্সি নম্বরও, দাবি ইডির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)‌। এই মামলায় পার্থর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একাধিক মহিলারও। প্রথমেউ উঠে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) নাম। তাঁকে নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ্যে আসে। বিপুল পরিমাণ টাকা থেকে সন্তান দত্তক নেওয়ার শংসাপত্র সহ সমস্ত নথিরই হদিশ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার সামনে এল আর এক নারীর নাম। যাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই জড়িয়ে গিয়েছে পার্থর নামও। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা পার্থ–অর্পিতাকে গ্রেফতারের পর তাঁদের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজেয়াপ্ত করে। সেটির উপর তদন্ত করতেই প্রকাশ্যে এল আর এক নারীর নাম।

ইডি আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোন তাঁর নামে কেনা হয়নি। ঠিক যেভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধারই হয়নি। এই ফোনের সিম কার্ড ছিল জ্যোতি বলে আর এক মহিলার নামে। টেলিকম কোম্পানিগুলির নিয়ম রয়েছে, প্রি–পেইড বা পোস্ট পেইড মোবাইল নম্বর নিতে গেলে গ্রাহককে তাঁর আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হয়। গ্রাহকের কেওয়াইসি জানতে চায় নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার। সেটা পরীক্ষা করেই ইডি আধিকারিকরা দেখেন, ফোনের নম্বর পার্থর নামেই নেই। সেটি নেওয়া হয়েছে জ্যোতির নামে।

এখন প্রশ্ন উঠছে কে এই জ্যোতি?‌ ইডিকে যদিও পার্থ জানান, তিনি ওই মহিলাকে চেনেনই না। খুব সম্ভবত ওই মহিলা সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার কেউ হবেন। নাকতলার কাছে আনন্দ আশ্রম এলাকার একটি আউটলেট থেকে ওই নম্বর তিনি নিয়েছিলেন। ইডি অবশ্য চার্জশিটে জানান, পার্থ জেনে শুনেই জ্যোতির নামে ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন। তাহলে কী আরও এক নারীর সংস্পর্শে ছিলেন পার্থ?‌ এই নম্বর থেকেই পার্থ সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বিভিন্ন প্রক্সি নম্বর ব্যবহার করা হতো যাতে সহজে ধরা না পড়েন।

ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, পার্থর এই প্রক্সি নম্বরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের মেসেজগুলি রয়েছে। এমনকী সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের মেসেজও পেয়েছেন আধিকারিকরা। এই ফোনেই রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হোয়াটস অ্যাপ মেসেজও। এই নম্বর থেকেই পার্থ মেসেজের জবাবও দিয়েছেন বহুবার।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর