ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে জেরবার বাংলা! কসবার পর এবার চাঞ্চল্য হাবড়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের জের কাটতে না কাটতেই এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বাণীপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টিকা নেওয়ার আগেই ভ্যাকসিন প্রাপকদের মোবাইলে মেসেজ আসা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে সেখানে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হাবড়ার বানীপুরের বেসরকারি কলেজে ৭৮০ টাকার বিনিময়ে চলছিল ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। অনেকেই করোনা থেকে বাঁচতে সেখানে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। আর নাম নথিভুক্ত করা মাত্রই তাঁদের মোবাইলে মেসেজ চলে যায় বলে অভিযোগ।

ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে মোবাইলে মেসেজ যাওয়ায় অনেকের সন্দেহ হয়। এরপরই খবর পেয়ে হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের অফিসাররা সেখানে পৌঁছান। তাঁদের তদন্তে বড়সড় গলদ ধরা পড়ে। আধিকারিকরা জানান, এভাবে ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালাতে অনুমতি লাগে, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতিপত্র দেখতে চাওয়া হলে তাঁরা দেখাতে পারেনি। আধিকারিকরা এও জানান যে, ওঁরা ভ্যাকসিনগুলোকে কত তাপমাত্রায় রাখা হয়, সেটা নিয়েও জবাব দিতে পারেনি। ভ্যাকসিনেশনের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসাররা স্বীকার করেন যে, স্টোর থেকে ক্যাম্প পর্যন্ত ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম পালন কয়া হয়নি।

যতক্ষণে বিষয়টি সামনে আসত, ততক্ষণে ৩৫০ জনকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই ক্যাম্প থেকে। বেনিয়মের কথা সামনে আসতেই যারা অগ্রিম টাকা দিয়েছিল তাঁরা টাকা ফেরত চায়। এরপরই ওই বেসরকারি কলেজে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। অবস্থা শোচনীয় দেখে কলেজের পিছনের পাঁচিল টপকে পালায় ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অফিসাররা।

ভ্যাকসিন ক্যাম্পের পরীক্ষা করার পর হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান যে, ভ্যাকসিনে কোথাও ত্রুটি নেই। তবে ক্যাম্পের পরিকাঠামোতে অনেক গলদ রয়েছে আর প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই মোবাইলে মেসেজ চলে গিয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই বলে জানান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর