বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে জেরবার রাজ্য সরকার। একদিকে আদালতে চলছে একের পর এক মামলা, অন্যদিকে মহানগরীর রাজপথ ঢেকে গিয়েছে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন অনশনে। এরই মাঝে দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা নিচ্ছে পর্ষদ। উল্লেখ্য এবছর টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ।
নিজেদের সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে শুধু মাত্র চোখে একটা সরকারি চাকরির স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিতে ছুটে গিয়েছে বাংলার লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে। তবে তাদের ভবিষ্যৎ অবস্থাও ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের মতো হবে না তো? এদেরও রাস্তার ধারে তাঁবু খাটিয়ে ন্যায্য চাকরি পাওয়ার জন্য ধর্নায় বসতে হবে না তো? এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ২০১৪ টেট পরীক্ষার্থীরা।
এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৪ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের এ বছরের টেট পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাদের উত্তর, “যেখানে আমরা আট বছর আগে টেট পাশ করার পর, আমাদের প্রক্রিয়াই পর্ষদ স্বচ্ছভাবে শেষ করতে পারল না। তারপর আবার একটি পরীক্ষা। এটি একটি প্রহসন মাত্র। কিছুদিন বাদে দেখবেন ওনারাও আমাদের পাশে এসে তাঁবু খাটিয়ে বসছেন। যেটি পুরনো প্রক্রিয়া, যেখানে দুর্নীতি হয়েছে প্রমাণিত হয়েছে… পর্ষদের কি উচিত ছিল না সেই অস্বচ্ছতা দূর করে আমাদের নিয়োগ করে, তারপর একটি নতুন স্বচ্ছ নিয়োগ করা?” সাথেই তাদের অভিযোগ, “পর্ষদ শুধু উপর উপরই বলছে সবকিছু স্বচ্ছ হবে। আদৌ কি কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে?”
উল্লেখ্য , ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নিজেদের চাকরির দাবিতে এখনও দিন কাটাচ্ছেন মহানগরীর রাস্তায়। একদিন, দুদিন নয়, সেই উত্তীর্ণদের ধর্নার আজ ১১৬তম দিন। বহু আন্দোলন অনশনের পরও আজও তারা ন্যায্য বিচার পায়নি বলে অভিযোগ। এখনো কাটেনি ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ জট। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বুনছে এবারের লক্ষাধিক ছেলে মেয়ে। সেই নিয়েই নিজেদের হতাশা ও চোখের জল ফেলে শুধুই অপেক্ষা দিন গোনার। সাথেই বর্তমান টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ভেবে রীতিমতো আশঙ্কিত তারা।