বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৪ সাল থেকেই বিজেপির শক্ত জমি হয়ে উঠেছিল আসানসোল। কয়লা খনি এলাকার মাটিতে বহু চেষ্টা করেও মমতা ফোটাতে পারেননি ঘাসফুল। তবে খেলা ঘুরল বাইশের উপনির্বাচনে। ইতিহাসে এই প্রথমবার তৃণমূলের হাতে এল নরেন্দ্র মোদীর বড় পছন্দের কেন্দ্র আসানসোল। এদিনের উপনির্বাচনের ফলাফলে ঝরে গেল আসানসোলের পদ্ম। তারপরই ট্যুইটারে কার্যতই অনুতাপে ফেটে পড়লেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
এদিন ট্যুইটারে অগ্নিমিত্রা পাল নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে লেখেন,’দুঃখিত নরেন্দ্র মোদী স্যার…আমি আমার জানপ্রাণ দিয়ে লড়েও আসানসোলের আসনটি আপনাকে দিতে পারলাম না… আমার লড়াই ছিল বাংলায় গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আজ গণতন্ত্র মৃত। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। তবে আমার লড়াই চলবে স্যার।’
Sorry @narendramodi Sir..
I tried my best but couldn’t give you this seat….My war is to save Democracy in West Bengal
Democracy has been murdered in West Bengal
My war is on Sir✊
— Agnimitra Paul BJP (@paulagnimitra1) April 16, 2022
তৃণমূলের করা দাবি মতই কয়েক লক্ষ ভোটে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে তারা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত মোট ভোট ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৮৬ টি। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঝুলিতে গেছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৩টি ভোট। ভোটের শতাংশের নিরিখে তৃণমূল পেয়েছে ৫৬.৫৭% ভোট, সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৩০.৫২%। আসানসোলের মতন শক্ত ঘাঁটিতে দলের হার নিয়ে স্বভাবতই তীব্র চাপান উতোর তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।
এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে আসছে ওরা। আজকেও মেরেছে কয়েকজনকে। এটাই তো করছে তৃণমূল। এই সন্ত্রাসের জেরেই অনেককে পাশে পাইনি আমরা।’ তিনি একা নন, দলের হার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁও। সৌমিত্রর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘অপরিণত রাজনীতিবিদরা দলের মাথায় বসে থাকলে জেতার আশা করাটাই ভুল। যাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দল থেকে আমার মনে হয় অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে তাঁদের দলে ফেরানো উচিত এবং সবাই মিলে আবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা নেতা, বস নই, একথাটা মনে রাখতে হবে।’
ইতিহাসে এই প্রথম তৃণমূলের হাতে এলো আসানসোল। যখন রাজ্যে বিজেপির কার্যতই কিছু ছিল না, তখনও তাদের সঙ্গে থেকেছে আসানসোলের মানুষ। কিন্তু বাইশের উপনির্বাচনে এসেই বদলে গেল পাশা। আসানসোলের মতন কঠিন আসনে তৃণমূলের এই জয়কে নিঃসন্দেহেই অতিমাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।