বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সরগরম হয়ে রয়েছে দেশের রাজনীতি। পয়গম্বর বিতর্কে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের আঁচ এখনো মেটেনি আর তার মধ্যেই নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ‘অগ্নিপথ’ বিতর্ক। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার দ্বারা সেনাবাহিনীতে চাকরির একটি নতুন পরিকল্পনা ‘অগ্নিপথ’ ঘোষণা করা হয় আর তারপর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে নামে মানুষ। বর্তমানে এই বিক্ষোভ এসে পৌঁছালো বাংলাতেও।
এদিন সকাল হতেই ঠাকুরনগর এবং ভাটপাড়া সহ অন্যান্য একাধিক জেলায় আন্দোলনে নামে সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। দিকে দিকে রেল অবরোধের ফলে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের একটি প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার, যার নাম দেওয়া হয় অগ্নিপথ।
এই প্রকল্প অনুযায়ী, 17 বছর 5 মাস থেকে শুরু করে 23 বছরের মধ্যে কোন তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে 45000 তরুণকে নেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যাদের চাকরির সময়সীমা হবে চার বছর। এক্ষেত্রে প্রথম তিন বছর 30 হাজার টাকা এবং চতুর্থ বছরে 40 হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে এবং চার বছর পর 25% কর্মীকে পুনরায় নিয়োগ করবে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে যাদের চাকরি থাকবে না, সেক্ষেত্রে তাদেরকে 11 লক্ষ টাকার প্যাকেজ দেবে সরকার। তবে থাকবে না কোনো মাসিক পেনশন। এছাড়াও কোন সেনা কাজ চলাকালীন মারা গেলে তার পরিবারকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কেন্দ্র সরকারের এই ঘোষণার পরেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে নামে বহু সেনাবাহিনী চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের কথায়, “আমরা যখন সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবি, তখন সম্পূর্ণ সময়ের জন্যই কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে চার বছরের চাকরি অর্থহীন।” আর সেই দাবিকে সামনে রেখেই এদিন ঠাকুরনগর সহ ভাটপাড়ার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভে নামে মানুষ। ঠাকুরনগর স্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় তাদের। স্বভাবতই শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে এবং সমস্যার সম্মুখীন হন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া ব্রিজে চলে অবরোধ। তবে শুধু বাংলায় নয়, বর্তমানে বিহার ও উত্তর প্রদেশ সহ ভারতের একাধিক প্রান্তে ‘অগ্নিপথ’-এর বিরোধে নেমেছে সকলে।