বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছেই। বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বিহার থেকেই। ক্রমশ সারা দেশের আট রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অগ্নিপথের বিরুদ্ধে আন্দোলন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানেও বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন অজস্র তরুণ। এই রকম পরিস্থিতিতে অগ্নিপথ প্রকল্পে কিছু বদল আনল কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদনের বয়স সীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার কারণে গত দু’বছর সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে। নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হচ্ছে।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানান, অগ্নিপথ প্রকল্পে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের তরুণরা চার বছরের জন্য সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে চাকরি পাবেন। এরপরই বাড়তে থাকে ক্ষোভ। বাধ্য হয়ে সরকার সেই নিয়ম বদলে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা করা হল ২১ থেকে ২৩৷ এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী করা হবে না বলেই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই অস্থায়ী চাকরির মাধ্যমে নিয়মিত ক্যাডার সেবায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনের সুযোগও থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানায় ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের আওতায় চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ করা হবে। প্রথম বছর এই ‘অগ্নিবীর’রা পাবেন মাসে ৩০ হাজার টাকা। চতুর্থ বছরে পাবে ৪০ হাজার টাকা। এই আয়ের ৩০ শতাংশ তাঁরা জমাতে পারবেন। সম পরিমাণ টাকা সরকারও দেবে বলেই ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্পে চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়। বাকি ৭৫ শতাংশকে আর সেনাবাহিনীতে রাখা হবে না। সেই সময় তাঁদের দেওয়া হবে ১০-১১ লক্ষ টাকা ভাতা। তবে যাদের আর সেনাবাহিনীতে রাখা হবে না তারা অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধাও পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে। এমনকি নিজেদের প্রাক্তন সেনাকর্মীও বলতে পারবেন না। এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে।