বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের সংবাদ শিরোনামে অগ্নিপথ প্রকল্প। দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে এসেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। গত বছর জুন মাসে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। দেশের যুবকরা ৪ বছরের জন্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই মর্মে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে আসার পর এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। দেশের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভও শুরু হয়। ‘অগ্নিপথের’ বৈধতা নিয়ে মামলা আদালত অবধি গড়ায়। এবার সেই মামলাকে খারিজ করে অগ্নিপথ প্রকল্পকে বৈধ আখ্যা দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হাইকোর্ট অগ্নিপথ প্রকল্পকে বৈধ বলে ঘোষণা করে। দিল্লি হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করে, জাতীয় স্বার্থে এবং সশস্ত্র বাহিনী যাতে আরও ভালভাবে সজ্জিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই অগ্নিপথ প্রকল্পটি নিয়ে আসা হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দুটি আবেদন করা হয় শীর্ষ আদালতে। গোপাল কৃষ্ণণ নামে এক আবেদনকারী এবং আইনজীবী এমএল শর্মা দুটি পৃথকভাবে আবেদন করেন।
এক আবেদনকারীর দাবি ছিল, অগ্নিপথ প্রকল্প কার্যকর হওয়ার পর সামরিক বাহিনীতে পূর্ববর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আইনজীবী এমএল শর্মার যুক্তি ছিল এই প্রকল্পটি কোনও এক্সিকিউটিভ আদেশের মাধ্যমে চালু করা যায় না। এর জন্য সংসদীয় আইনের প্রয়োজন। তবে এই দুই আবেদনই সোমবার খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা ও জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চ।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, অগ্নিপথ প্রকল্প অযৌক্তিক নয়। অগ্নিপথ প্রকল্প চালু হওয়ার আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের অধিকার নেই। এবং এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী বলা যায় না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমাদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নেই। এটা কোনও চুক্তি নয়, জন নিয়োগের বিষয় এটি।’