বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন জমা করা হয়নি সম্পত্তি ও জল কর। কর ফাঁকির অভিযোগে যে কোন মুহূর্তে তাজমহলকে সিল করা হতে পারে।আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া কর জমা করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নয়তো বিশ্বের এই সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম এই আশ্চর্য সিল করে দেওয়া হতে পারে।
আগ্রা পুর নিগমের একটি নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, তাজমহল কর্তৃপক্ষ ১.৯ কোটি টাকার জল ও ১.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কর দেয়নি। অভিযোগ ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ সালের কর বাকি রয়েছে তাজমহলের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশ জুড়ে।
আগ্রা পুর নিগম তাজমহল কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জল ও সম্পত্তি কর জমা করতে বলেছে। এই সময়ের মধ্যে তাজমহল কর্তৃপক্ষ যদি বকেয়া কর না মেটায় তাহলে সিল করে দেওয়া হতে পারে তাজমহল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই নোটিশ হাতে পাওয়ার পর পাল্টা অভিযোগ তুলেছে।
ASI এর আর্কিওলজিস্ট রাজকুমার প্যাটেল বলেছেন, “সম্পত্তি কর লাগু হয়না স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের উপর। আর তাজমহল কোন বাণিজ্যিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় না। তাই এখানে জল কর দেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই। শুধুমাত্র তাজমহল চত্বরে সবুজায়নের জন্য জল ব্যবহার করা হয়। পুর নিগমের পক্ষ থেকে সম্পত্তি এবং জল করের নোটিশ প্রথমবারের জন্য পাঠানো হল। আমার মনে হয় এটি ভুলবশত পাঠানো হয়েছে তাজমহলকে।”
অন্যদিকে, আগ্রা পুর নিগমের কমিশনার নিখিল ফান্ডে জানিয়েছেন, “সম্পত্তি ও জল কর বাকি থাকলে রাজ্যের জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম অনুযায়ী নতুন করে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলিকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একাধিক ধর্মীয় স্থানেও এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাজমহলকে নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে এএসআই এর সাথে কথা বলা হবে।”
বলে রাখা ভালো, ১৯২০ সাল থেকে একটি সংরক্ষিত হেরিটেজ স্থাপত্য এই তাজমহল। এই স্থাপত্যের উপর কখনোই জল ও সম্পত্তি কর লাগু হতে পারে না। এমনকি ব্রিটিশ আমলেও কোন কর লাগু ছিল না।