১৩ বছর আগে কৃষি ঋণ নিয়েও শোধের বালাই নেই! BJP বিধায়ককে নোটিস ধরাল সমবায় কর্তৃপক্ষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিপুল কৃষি ঋণ (Agricultural Loan) নিয়েও শোধ করার বালাই নেই! মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) কৌশিক রায়কে নোটিস (Notice) দিলেন সমবায় কর্তৃপক্ষ (Cooperative Authorities)। নোটিসে বলা হয়েছে আগামী ১০ মে-র মধ্যে সমস্ত ঋন পরিশোধ করতে হবে ওই নেতাকে। অন্যথা আইনি পদক্ষেপ করবেন সমবায় কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে ২০১০ সালে তিনি ময়নাগুড়ির চুকানী পাড়া সমবায় উন্নয়ন সমিতি থেকে ২৩ হাজার টাকা ঋণ নেন কৌশিকবাবু। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থের এক টাকাও শোধ দেননি বিধায়ক। যার ফলে কেবলমাত্র ওই ঋণ বাবদ নেওয়া অর্থের সুদের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯,৪৭৫ টাকায়। সুদ আসল সব মিলিয়ে অর্থের পরিমান যার পরিমান ৫২,৪৭৫ টাকা। অন্যদিকে, বিধায়ক কখনও চাষ আবাদের সঙ্গে যুক্তই ছিলেননা বলে দাবি তৃণমূলের।

এই বিষয়ে সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কৃষিকাজের সাথে যুক্ত না থেকেও মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বাম আমলে ঋণ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তবে এত বছর পেরিয়ে গেলেও একটা টাকাও শোধ দেননি বিধায়ক। তাই তাকে নোটিস ধরানো হয়েছে।

পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ না করলে বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ঋণ পরিশোধ করার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক মশাই। কৌশিক রায় বলেন, সব ঋণ তিনি অবশ্যই পরিশোধ করে দেবেন। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনো নোটিস এখনও হাতে পাননি তিনি।

bjp tmc

তবে মিথ্যে বলে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিধায়ক। কৌশিক রায় বলেন, পূর্বে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১০ সালে যেসময় তিনি ঋণ নিয়েছিলেন তখন তিনি চাকরি পাননি। তাই ঋণ নিয়ে ধান চাষ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিছু সময় পর প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পান তাই চাষ-আবাদ ছেড়ে দেন।

বিধায়ক আরও বলেন, পূর্বে মৌখিক ভাবে জানালেই তিনি ঋণ শোধ করার চেষ্টা করতেন। একেবারে লিখিত নোটিস দেওয়ার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি। তার মতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দলকে ও তাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে এতেও লাভের লাভ কিছু হবেনা বলেই জানান কৌশিকবাবু।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর