“Mayday! ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে….”, দুর্ঘটনার আগে ভয়াবহ বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলটরা, চেয়েছিলেন সাহায্য

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) ঘটে। এমতাবস্থায়, ওই দুর্ঘটনার ঠিক আগে পাইলটরা কী বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেই সংক্রান্ত তথ্য এবার সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, বিমান টেক-অফের পর ৬২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পরেই ৪৭৫ ফুট প্রতি মিনিটে হঠাৎ করেই সেটি নিচের দিকে নামতে শুরু করেন। সেই সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের পাইলট সুমিত সাভারওয়াল এবং কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের উদ্দেশ্যে “Mayday Call” করেছিলেন। যদিও, তারপরে ATC কর্তৃক করা সমস্ত কলের উত্তর দেওয়া হয়নি।

দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) আগে কী বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলটরা:

ওই বিমানের পাইলট সুমিত সাভারওয়ালের ৮,২০০ ঘন্টার বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুর্ঘটনার ঠিক আগেই তিনি ATC-কে দেওয়া বার্তায় জানিয়েছিলেন, বিমানটির “কোনও থ্রাস্ট” ছিল না এবং সেই কারণে তাঁর বিমানটি “ওঠাতে অক্ষম” ছিলেন। ATC-কে দেওয়া সাভারওয়ালের শেষ বার্তায় বলা ছিল, “Mayday… কোনও থ্রাস্ট নেই, ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে, তুলতে পারছি না।” এর কয়েক সেকেন্ড পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত (Ahmedabad Plane Crash) হয়।

Ahmedabad Plane Crash pilot's message update.

Mayday Call কী: এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে “Mayday Call” আসলে কী? জানিয়ে রাখি যে, “Mayday Call” হল বিমান ও সামুদ্রিক যোগাযোগে ব্যবহৃত সর্বোচ্চ স্তরের রেডিও বিপদ সংকেত। যেটি নির্দেশ করে লাইফ থ্রেটেনিং ইমারজেন্সিকে। অর্থাৎ, এটি ইঙ্গিত দেয় যে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: “ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ করেছি”, সমাধান সম্ভব কাশ্মীর সমস্যারও, আত্মবিশ্বাসের সুরে কী জানালেন ট্রাম্প?

“Mayday” শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ “Maidar” থেকে। যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন”। জরুরি অবস্থার সময় স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য লন্ডনের ক্রয়ডন বিমানবন্দরের রেডিও অফিসার ফ্রেডেরিক স্ট্যানলি মকফোর্ড ১৯২০ সালের গোড়ার দিকে এটি চালু করেছিলেন। পরে এই শব্দটি পাইলট এবং নাবিকদের জন্য আন্তর্জাতিক রেডিও যোগাযোগের একটি আদর্শ অংশ হয়ে ওঠে। ১৯২৭ সালে মোর্স কোড সিগন্যাল “SOS”-এও এটির আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্তি ঘটে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই অভিশপ্ত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি রানওয়ে ২৩ থেকে উড়ান শুরু করে। কিন্তু, তারপরেই অপ্রত্যাশিতভাবে নামতে শুরু করে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে বিমানটি নামতে নামতে জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ে (Ahmedabad Plane Crash) এবং প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পাশাপাশি ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: সিট নাম্বার ১১এ…..আহমেদাবাদের অভিশপ্ত বিমান দুর্ঘটনায় কীভাবে বাঁচলেন রমেশ? জানলে চমকে উঠবেন

ফ্লাইটরাডারের ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে পৌঁছনোর (৪,২০০ মাইল) দশ ঘন্টার সফরের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফ্লাইট ১৭১-এর ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন।

তবে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বাসকুমার নামে একজন যাত্রী দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) থেকে বেঁচে গেছেন। তিনি ওই দৃশ্যকে “অকল্পনীয়” বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি তাঁর চারপাশে মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।