লকআপে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ! মামলা গড়াল হাইকোর্টে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর কান্ডের প্রতিবাদ করায় ব্যাপক মারধর করা হয়েছে AIDSO-র ৪ নেত্রীদের। সেইসাথে চলেছে নৃশংস অত্যাচার। অভিযোগ দায়ের হতেই কাঠগড়ায় মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি। এবার এই মামলার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা এবং থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবিতে মামলার,আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ওই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।

৪ AIDSO নেত্রীর মামলা শুনবে আদালত (Calcutta High Court)

বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন AIDSO-এর চার নিগৃহীত নেত্রী। তাঁদের বর্ণনায় উঠে এসেছে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার লক আপের সেই নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা। গা শিউরে ওঠা সেই অত্যাচারের কথা জানিয়ে সুশ্রীতা সোরেন বলেছেন ৩ মার্চ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই তাঁদের কর্মসূচি ছিল। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন। রাস্তা অবরোধ বা অন্য এমন কোনো কাজ তাঁরা করেননি যাতে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছানো মাত্রই বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে তাদের তুলে নিয়ে যায়।

AIDSO ছাত্রীর কথায় প্রথমে সেখানে ছাত্র কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চারজন ছাত্রীকে পাটনা বাজার মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রী আরও জানান থেকে পুলিশ ভ্যান থেকে নামিয়ে তাঁদের সিসিটিভির আওত্তার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চুলের মুঠি ধরে,লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁদের। সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় মেঝের মধ্যেই মুখ থুবরে পরে যান তাঁরা। ওই অবস্থাতেই ওসি সহ পাঁচ জন পুলিশ কর্মী মিলে বেধড়ক মারধর করেন তাদের। লাঠি-ঘুষি কোন কিছুই বাদ যায়নি। সেই সময় ওসি তার কোমরের বেল্ট খুলেও মারধর করেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’! এবার সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে

বর্ণালী নায়ক, রানুশ্রী বেজরাও একই অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে তাঁদের আরও সংযোজন রাজ্যের দুটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর পরেও তারা এখনও ইনজুরি রিপোর্ট হাতে পাননি। ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেদিনীপুর পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।

Calcutta High Court on Murshidabad Medical College student death case

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এই ঘটনার কোন অবকাশ নেই। সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ সিনিয়র অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। মহিলা থানাতেই রাখা ছিল। রাতেই পরিবারের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাঁর সংযোজন, কেন এমন অভিযোগ করছে জানি না। আমি বলব,একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের জেলা নেতৃত্ব এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর