বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশে এক দিকে দক্ষিণপন্থী দলগুলি জন্ম নিয়ন্ত্রক আইন আনার পক্ষে সওয়াল করছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন সময়েই হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের ঘটনা সামনে এসেছে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগও এসেছে। এরই মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রীতির সংমিশ্রণে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সর্বভারতীয় যুক্ত গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (AIUDF) সুপ্রিমো বদরুদ্দিন অজমল (Badruddin Ajmal)।
অসমের এই রাজনীতিবিদ বলেন, হিন্দুদের ‘মুসলিম ফর্মুলা’ গ্রহণ করা উচিত। হিন্দু সন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বদরুদ্দিন এ দিন বলেন, “মুসলিম পুরুষরা ২০ থেকে ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে নেয়। মুসলিম মহিলারাও ১৮ বছরে বিয়ে করে নেয়। কিন্তু হিন্দুরা বিয়ের আগে একাধিক অবৈধ স্ত্রী রাখে। তারা সন্তানের জন্ম দেয় না। স্ত্রীদের ভোগ করে এবং অঢেল পয়সা বাঁচায়।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়েই দক্ষিণপন্থীরা মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করেছে। এই প্রসঙ্গে এআইডিইউএফ প্রধান বলেন, “পরিবারের চাপে পড়ে ৪০ বছর বয়সের পর তারা বিয়ে করে। ওই বয়সের পর কী ভাবে তাদের থেকে সন্তান আশা করা যায়? উর্বর জমিতে বীজ বপন করলেই ভাল ফসলের আশা করা উচিত। তাহলেই বংশ বৃদ্ধি হবে।”
এই প্রসঙ্গে হিন্দুদের ‘মুসলিম ফর্মুলা’ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন বদরুদ্দিন। হিন্দুদের সন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। আজমল এ দিন বলেন, “ছেলেদের ২০-২২ বছরে বিয়ে দিয়ে দিন। মেয়েদেরও ১৮-২০ বছরে বিয়ে দিয়ে দিন। তারপর দেখুন কত সন্তানের জন্ম দেয় তারা।” সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীকেও এ দিন এক হাত নিতে দেখা গিয়েছে এআইডিইউএফ সুপ্রিমোকে। শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে ‘লভ জিহাদ’-এর একটি উপাদান ছিল বলে মন্তব্য করেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের নরেন্দ্র মোদীর মতো একজন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন। নয়তো প্রত্যেক শহরে একজন আফতাব জন্ম নেবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বদরুদ্দিন বলেন, “এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী দেশের অন্যতম উচ্চস্তরের নেতা। ওনাকে কে আটকাচ্ছে? উনিও মুসলিম মেয়েদের উপর ‘লভ জিহাদ’ করুন। আমরা কিছু বলব না। আপনার কত ক্ষমতা রয়েছে দেখা যাবে।” জানিয়ে রাখি, দক্ষিণপন্থীদের মতে, মুসলিম পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে দেয়। এটিকেই তারা নাম দিয়েছে ‘লভ জিহাদ’।
প্রসঙ্গত, আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে তার বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুন করে তার শরীরের ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দিচ্ছিল আফতাব। শ্রদ্ধার শরীর জমিয়ে রাখতে নতুন একটি ফ্রিজও কিনেছিল সে।