বাংলাহান্ট ডেস্ক : কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি নিয়েই হিজাব বিতর্কের শুরু। কর্নাটক হাইকোর্টের রায় ছিল, ধর্মাচরণে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। আর ঠিক তারপরেই হিজাব বিতর্কে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমীন (All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) বৃহস্পতিবার বলেন যে, “কর্ণাটক হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে আজ এ বিষয়ে শুনানি শেষ হবে। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় ছিল একেবারেই ভুল। এতে কোরানের তাফসীরের অসম্মান হয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যে মামলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার ছিল তারই রায়দান। এ দিন দুই মত পোষণ করেছেন ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার মতামত আলাদা হওয়ায় মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে।
বিচারপতি ধুলিয়া বলেন, ‘আমার মতে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশাসনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলার প্রয়োজন ছিল না।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে তার মূল লক্ষ্য বালিকাদের শিক্ষার উপর, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী বালিকাদের জন্য। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমরা কি তাদের জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে পেরেছি?’ অন্যদিকে, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, ‘আমার রায়ে ১১ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি আবেদন খারিজ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষেই রায় দেন তিনি।
হিজাব বিতর্ক নিয়ে যখন তোলপাড় দেশজুড়ে তখন ওয়াইসির বক্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। ওয়াইসির কথায়, কর্নাটকের মুসলিম মেয়েরা হিজাব পড়ছে কারণ এটি আল্লাহর নির্দেশ। এর উল্লেখ কোরানে রয়েছে। ওয়াইসি বলেন, বিজেপি হিজাবকে একটি অপ্রয়োজনীয় ইস্যু বানিয়েছে। নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি তার সংযোজন, আগে রায় সম্পূর্ণ আপলোড করা হবে। তারপর এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব। সব মিলিয়ে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ওয়াইসির মন্তব্য।