বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, জ্ঞানবাপী মসজিদ পর্যবেক্ষণ এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে শিবলিঙ্গ পাওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে রয়েছে দেশের রাজনীতি। তবে উত্তরপ্রদেশের এই মসজিদই শুধু নয়, পরবর্তীতে তাজমহল ও কুতুব মিনার সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মসজিদকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাধতে আরম্ভ করেছে। মসজিদ গুলিতে মন্দির গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করে চলেছে হিন্দু সংগঠনগুলি আর এর মাঝেই এবার সংঘ পরিবারকে আক্রমণ করে বসলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। শুধু তাই নয়, মুসলিমদের নিয়ে এদিন একটি বড় দাবি করেন তিনি।
এদিন ওয়াইসি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি লেখেন, “মুঘলদের সঙ্গে ভারতের মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু আপনারা এটা বলুন যে, মুঘল সম্রাটদের স্ত্রী কারা ছিলেন?” স্বভাবতই তাঁর এই ফেসবুক পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে ওঠে। সম্প্রতি দেশে মুঘল ও মুসলমানদের নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গেই তাঁর এই পোস্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অতীতেও মাদ্রাসা নিয়ে অসম মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন ওয়াইসি। উল্লেখ্য, অসমে ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন অসম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এরপরই আসরে নেমে এআইএমআইএম নেতা বলেন, “অসমে বর্তমানে বন্যায় দুর্বিষহ অবস্থা মানুষের। এখানে প্রায় সাত লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, সেখানে তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী অশালীন মন্তব্য করে চলেছেন।”
এছাড়াও এদিন তিনি আরএসএস-কে খোঁচা মেরে বলেন, “স্বাধীনতার পূর্বে সংঘ পরিবার যখন ব্রিটিশ এজেন্ট হয়ে কাজ করছিল, তখন আমাদের মাদ্রাসাগুলি স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে মাদ্রাসা নিয়েই প্রশ্ন তুলে চলেছে আরএসএস। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, রাজা রামমোহন রায়ও মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছিলেন।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “ইসলাম ছাড়াও মাদ্রাসায় প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও গণিত পড়ানো হয়। এখানে আত্মসম্মান এবং পরোপকারী মনোভাব সম্পর্কে অবগত করানো হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু তা সত্বেও সংঘ পরিবার এর বিরোধিতা করে চলেছে। আমরা এতে দমবো না। মুসলমানরা অতীতেও ভারতকে সমৃদ্ধ করেছিল এবং ভবিষ্যতেও করবে।”