বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) লোকসভায় (Lok Sabha) নাগরিকতা সংশোধন বিল (CAB) পেশ করেন। সংসদে চরম হাঙ্গামার মাঝেই এই বিল নিয়ে চর্চা করেন তিনি। কংগ্রেস সমেত সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলই সংসদে নাগরিকতা সংশোধন বিলের চরম বিরোধিতা করে। বিল সংশোধনে পেশ করার জন্য ভোটিং হয়, আর ভোটিং সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরই লোকসভায় এই বিল পেশ করেন অমিত শাহ। অমিত শাহ একে একে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন। যদিও এর আগে তিনি বলে নেন যে, আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি আছি, কিন্তু আপনারা ওয়াকআউট করবেন না।
AIMIM leader Asaduddin Owaisi tore a copy of #CitizenshipAmendmentBill2019 in Lok Sabha. pic.twitter.com/pzU1NtutD8
— ANI (@ANI) December 9, 2019
আরেকদিকে AIMIM এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) এই বিলের বিরোধিতা করে এই বিলকে লোকসভায় ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। উনি বলেন, ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা ভগবান আর খোদার নামে না। আপনি মুসলিমদের নাগরিকতা দেবেন না। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ’কে জিজ্ঞাসা করতে চাই, মুসলিমদের প্রতি আপনার এত ঘৃণা কেন? ওয়াইসি বলেন, এই বিলকে আমাদের এনআরসি’র নজরে দেখা উচিৎ। যেসব হিন্দু বাদ পড়েছে, তাঁদের জন্য এই বিল আনা হয়েছে। এটা মুসলিমদের রাজ্য/দেশ ছাড়া করার চক্রান্ত। উনি এও বলেন, দেশ আরও একবার বিভাজনের দিকে এগোচ্ছে। এই বিল হিটলারের আইনের থেকেও খারাপ।
বিল নিয়ে চর্চা হওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, আমি গোটা দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই বিল সংবিধানের কোন ধারাকে লঙ্ঘন করবে না। সংবিধানের ১৪ ধারার উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, এই ধারা আইন বানানোর জন্য কাউকে বাধা দেয়না। এটাই প্রথমবার নাগরিকতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছেনা। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেস সাশনে উগান্ডা থেকে আসা মানুষদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
HM Amit Shah: In 1947, all refugees which came in, all were accepted by the Indian constitution, there would hardly be any region of the country where refugees from West and East Pakistan didn't settle. From Manmohan Singh ji to LK Advani ji, all belong to this category. pic.twitter.com/PHOJ0oP2kJ
— ANI (@ANI) December 9, 2019
উনি আরও বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়। ধার্মিক প্রতারণা হয়। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছিল। যদি দেশ ভাগ না হত, তাহলে এই বিলের কোন দরকারই ছিলনা। কংগ্রেস আমাদের বাধ্য করেছে। যদি কোন মুসলিম আমাদের আইন অনুযায়ী আবেদন করে, তাহলে তাঁর কথা শোনা হবে। যেহেতু তাঁদের সাথে ধার্মিক প্রতারণা হয়নি, সেহেতু এই বিল আনা হয়েছে। আর এই বিলে ছয়টি ধর্ম হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসাই, জৈন, শিখ আর পারসিদের নাগরিকতা দেওয়ার আইন আছে।