বাংলাহান্ট ডেস্ক: লাল পাড় সাদা শাড়ি, হাতে শাঁখা পলা, লাল আলতার মেহেন্দি। মাথায় শোলার মুকুট আর সিঁথিতে জ্বলজ্বলে সিঁদুর। ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma) এই সাজে দেখার পর থেকেই নেটিজেনদের মুখে একটাই কথা, ‘চোখ ফেরানো যাচ্ছে না!’ কী অপূর্বই না দেখাচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন ঐন্দ্রিলা। বয়েজ কাট চুলটাও দারুন মানিয়ে গিয়েছে তাঁর লুকের সঙ্গে। হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন অভিনেত্রী। শ্রীমা ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘রাণী’। মুগ্ধ দিয়া মুখোপাধ্যায়ও। নেটিজেনরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ঐন্দ্রিলাকে। কেউ লিখেছেন, কী মিষ্টিটাই না লাগছে! আবার কেউ লিখেছেন, ‘স্বপ্নের রাণী’।
কয়েক মাস আগেই দ্বিতীয় বার ক্যান্সারকে জয় করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ঐন্দ্রিলা। প্রথম বার যখন তিনি একাদশ শ্রেণিতে পড়েন, আর এটা দ্বিতীয় বার। অভিনেত্রী বলেন, ক্যানসারের যন্ত্রণা, কষ্ট সম্পর্কে তাঁর আগে থেকেই ধারনা ছিল। ছয় বছর পর সেটা যখন আবারো ফিরে আসল তা মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল ঐন্দ্রিলার কাছে।
অভিনেত্রী জানান, অস্ত্রোপচারের পর তিনি হয়তো নাও বাঁচতে পারতেন। তাই চিকিৎসকরা যখন বলেন যে তাঁর জীবনের সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে, তখন দুবার না ভেবেই অস্ত্রোপচারের জন্য রাজি হয়ে যান ঐন্দ্রিলা। অস্ত্রোপচারের পর যখন তিনি প্রথম বার চোখ খোলেন, একটা আলোর ধাক্কা এসে লেগেছিল মুখে। সেটা দেখেই ঐন্দ্রিলার মনে প্রশ্ন এসেছিল, তিনি বেঁচে আছেন তো?
https://www.instagram.com/reel/Cbm3YFKreSF/?utm_medium=copy_link
ঐন্দ্রিলা জানান, ক্যানসারের সঙ্গে শারীরিক কষ্ট অসহনীয় ছিল। কিন্তু মনে শান্তি ছিল তাঁর। আর এর জন্য প্রেমিক সব্যসাচীকে পুরো কৃতিত্বটা দেন ঐন্দ্রিলা। সর্বক্ষণ ছায়ার মতো প্রেমিকাকে আগলে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী।
https://www.instagram.com/p/Cbkwhluv_Ba/?utm_medium=copy_link
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তিনি ফের ক্যামেরার মুখোমুখি হবেন। টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে অসাধারন প্রত্যাবর্তনের পুরস্কারও পেয়েছেন ঐন্দ্রিলা। অনুরাগীরা আর অপেক্ষা করতে পারছেন না তাঁকে পর্দায় দেখার জন্য।