বাংলাহান্ট ডেস্ক: সময় এগোচ্ছে নিজস্ব গতিতে। ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma) ছাড়াই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ জনেরা ছাড়া আর সকলেই নিজেদের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকের মনে এখনো রয়ে গিয়েছে ‘লড়াকু’ মেয়েটার স্মৃতি। তাঁর লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছেন যারা, সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন লড়াকু মানসিকতা সত্যিই ছিল ঐন্দ্রিলার।
একই বক্তব্য প্রয়াত অভিনেত্রীর দীর্ঘদিনের চিকিৎসকেরও। গত ৭ বছর ধরে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা করেছেন তিনি। যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী, সেই হাসপাতালেই কর্মরত তিনি। ঐন্দ্রিলা তাঁর মেয়ের মতোই ছিলেন। এক সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরে চিকিৎসক বলেন, সত্যিই লড়াকু ছিলেন অভিনেত্রী। কখনো বলতে হয়নি ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’। বরং তাঁকে দেখেই চিকিৎসকরা শিখেছেন অনেক কিছু।
ক্যানসার হলে অনেকে গোপন করতে চান। কিন্তু ঐন্দ্রিলা সে দিক দিয়ে যানইনি। বরং কেমোথেরাপিতে চুল উঠে গেলেও কোনোদিন পরচুলো পরেননি। ঐন্দ্রিলা। বরং যখন যেমন তখন তেমন ভাবেই সবার সামনে এসেছেন। অভিনয়ও করেছেন।
চিকিৎসক জানান, ঐন্দ্রিলা যখন অভিনয়ে পা-ও রাখেননি তখনি প্রথম ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি। সেটা ২০১৫ সাল। দিল্লিতে একবার চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই তাঁর কাছে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। বহরমপুরের বাড়ি, এক জেলা হাসপাতালেও কেমোথেরাপি হয়েছে তাঁর।
সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু ২০২১ এ দ্বিতীয় বার ক্যানসার থাবা বসায় তাঁর শরীরে। জটিল অস্ত্রোপচার ছিল ফুসফুসে। প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল। সবটা জেনেশুনেই অস্ত্রোপচারে রাজি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। শুধু তাঁর একার নয়, তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদেরও মনোবল ছিল অপরিসীম। ক্যানসারের চিকিৎসায় রোগী ও পরিজনদের মনের জোরটাও খুব প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক।
ঐন্দ্রিলার শেষ ২০ দিনের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন ওই চিকিৎসক। কখনো তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, কখনো আবার অবনতি। এক রকম হালই ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ঐন্দ্রিলার মনোবল অটুট ছিল। তবুও শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসক জানান, ২০ দিনের দিন জ্ঞান ফিরেছিল অভিনেত্রীর। শরীর সাড়ও দিচ্ছিল। কিন্তু কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না ঐন্দ্রিলা।