বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেড় মাস অতিবাহিত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর পর। গত বছর নভেম্বর মাসের শুরুতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে অসম লড়াইয়ের পর হার মানেন ঐন্দ্রিলা। ‘লড়াকু’ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। দু বার ক্যানসারকে হারানোর পর তৃতীয় বারও যুদ্ধ জিতে ফিরবেন তিনি, এই আশাই করেছিলেন সকলে। কিন্তু সবসময় তো সব মনস্কামনা পূরণ হয় না।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেত্রীর অবর্তমানে নিজেকে নেটমাধ্যমের ডামাডোলের মধ্যে রাখতে চাননি তিনি। উপরন্তু ঐন্দ্রিলার আগ্রহেই তিনি লেখালেখি করতেন। তিনিই যখন রইলেন না, তখন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে চাননি সব্যসাচীও।
কিন্তু প্রয়াত অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা এবং দিদি ঐশ্বর্য শর্মা সক্রিয় থেকেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঐন্দ্রিলার পুরনো ছবি, ভিডিও শেয়ার করে তাঁকে সবার মনে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি এক ঘটনায় চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর এত দিন পর হঠাৎ করে সক্রিয় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট।
সব্যসাচীর জন্মদিনের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘শুভ জন্মদিন আমার সব্য।’ কিন্তু এদিন তো অভিনেতার জন্মদিন নয়। উপরন্তু যে প্রশ্নটা সবার মনে উঠছে, এতদিন পর ঐন্দ্রিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই ভিডিও শেয়ার করল কে?
আসলে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। তিনিই জানিয়েছেন, সব্যসাচীর জন্মদিনে ঐন্দ্রিলার শেষ ভিডিও এটা। খুব মন চাইল, তাই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় রাখতেই এমনটা করেছেন শিখা শর্মা।
সম্প্রতি তিনি আক্ষেপ করেন, ঐন্দ্রিলাকে নাকি সবাই ভুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দিন কয়েক আগে ঐন্দ্রিলার একটি ফ্যানপেজের তরফে লেখা হয়েছিল, সবাই ভুলে যাচ্ছে তাঁকে। সেই পোস্টটি শেয়ার করে শিখা শর্মা লেখেন, ‘এক সময় সবাই ভুলে যাবে আমার মানিককে। শুধু আমরা মা বাবা সবার থেকে আলাদা হয়ে যাব আর তোমার সাথে প্রতি মুহূর্তে কথা বলব। তোমার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রাখব ভীষণ ভাবে’।