বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটানা ১৭ দিন ধরে হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার আন্দুলের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। মাঝে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়েও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আবারো ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় ঐন্দ্রিলাকে।
ভেন্টিলেশন, সিপিআর, ওষুধপত্র, চিকিৎসক সবের খরচ মিলিয়ে এই ১৭ দিনে যে একটা পাহাড়প্রমাণ অঙ্ক তৈরি হয়েছে তা সকলেই বুঝতে পারছেন। জানা গিয়েছে, হাওড়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে ঐন্দ্রিলা এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন সেখানে চিকিৎসার জন্য দৈনিক খরচই হয় আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা।
ঐন্দ্রিলা ওই হাসপাতালেই নিয়মিত চিকিৎসা করাতেন। তাই হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট খরচ খরচার দিকটা দেখছে বলে জানিয়েছেন ওখানকার এক চিকিৎসক। তবে তিনি এও জানান, বিষয়টা শুধু ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রেই নয়, হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের জন্যও প্রযোজ্য। ঐন্দ্রিলার হাসপাতাল বিলের ব্যাপারে তিনি কিছু না বললেও জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ লাখ টাকা হয়ে গিয়েছে এতদিনে।
কিছুদিন আগে বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের একজন অভিনেত্রীকে সুস্থ করে ফেরত আনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার থেকে অর্থের সাহায্য জরুরি কিনা, সেটা ভেবে দেখা দরকার।’ সংবাদ মাধ্যমের কাছেও এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অনিন্দ্য। ঐন্দ্রিলা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে সেটা জেনেই তিনি বলেন, অভিনেত্রীর বাবা কোনো নেতামন্ত্রী নন যে অঢেল টাকা থাকবে।
অনিন্দ্য বলেছিলেন, ঐন্দ্রিলার পরিবার কোনো আর্থিক সাহায্য চায়নি এখনো পর্যন্ত সেকথা ঠিক। কিন্তু এক সময়ে সবারই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। সেকথা মনে রেখেই সবার উচিত আর্থিক ভাবে ঐন্দ্রিলা পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। অনেকেই বলেছেন, দরকার পড়লে সকলেই আর্থিক সাহায্য করবেন। আগে ঐন্দ্রিলা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। তবে এ বিষয়টা নিয়ে অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে কোনো মন্তব্যই করা হয়নি।