ছয় দিনের লড়াইয়ের পর সুখবর, ভেন্টিলেশন থেকে বেরোলেন ঐন্দ্রিলা, আশা জাগালেন সব‍্যসাচী

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছয় দিনের একটা লড়াই। একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে সকলে। ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma), যিনি দু দুবার ক‍্যানসারকে হারানোর পর আবারো আক্রান্ত হয়েছেন ব্রেন স্ট্রোকে। আবারো মৃত‍্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন সব‍্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। এবার তিনিই শোনালেন বহু প্রতীক্ষিত সুখবর।

ছয় দিন কাটানোর পর অবশেষে ভেন্টিলেশন থেকে ছাড়া পেলেন ঐন্দ্রিলা। নর্মাল বেডে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হ‍্যাঁ, অচৈতন‍্য অবস্থা থেকে পুরোপুরি জেগে ওঠেননি তিনি এখনো। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। এতগুলো মানুষের নিরলস চেষ্টার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফাইট করছেন ঐন্দ্রিলা।

Aindrila sabyasachi
আগের বার অভিনেত্রী ক‍্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রত‍্যেক মাসে তাঁর স্বাস্থ‍্যের আপডেট দিতেন সব‍্যসাচী। এবারেও ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সোশ‍্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। আর্জি জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ভুয়ো খবর না ছড়াতে। তিনি নিজে হাতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে এসেছিলেন, নিজে হাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।

অবশেষে তিনিই জানালেন সঠিক খবরটা। সোশ‍্যাল মিডিয়ায় সব‍্যসাচী লিখেছেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে।’

এরপর তিনি আরো লিখেছেন, ‘ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’

ঐন্দ্রিলার ব‍্যাপারে যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তাদেরকেও তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন সব‍্যসাচী। লিখেছেন, ‘আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।’

সবশেষে সব‍্যসাচী লিখেছেন, ‘‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।’

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর