বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি অভিনেত্রী। অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্তও অভিনয় করে গিয়েছেন। নতুন প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য শহর ছাড়ার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু নিয়তি অন্য কিছু লিখে রেখেছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) জন্য। হঠাৎ করেই ব্রেন স্ট্রোক। ২০ দিনের লড়াই শেষে সমস্ত মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী।
রবিবার হাওড়ার হাসপাতালের বাইরে কার্যত ঢল নেমেছিল অনুরাগীদের। সেখান থেকে ঐন্দ্রিলার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কুদঘাটের আবাসনে। সেখানেও উপস্থিত ছিল অনেক অনুরাগী, টলিপাড়ার সহকর্মীরা। সকলেরই চোখে জল। শেষযাত্রার জন্য পরম যত্নে বোনকে সাজিয়ে দেন দিদি ঐশ্বর্য শর্মা।
বেডে শায়িত ঐন্দ্রিলাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন চোখ দুটো বুজে ঘুমিয়ে আছেন। অসুস্থতা ম্লান করতে পারেনি তাঁর স্বাভাবিক সৌন্দর্য। লাল শাড়িতে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। চোখে জল নিয়েই নিজে হাতে বোনের গালে আলতো করে ব্লাশ লাগিয়ে দিলেন দিদি। ঠোঁটে ছোঁয়ালেন লিপস্টিক, কপালে টিপ। অভিনেত্রীর সাজেই জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিলেন ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলা এবং ঐশ্বর্য দুই বোন। বড় জন বাবার মতো চিকিৎসক হয়েছেন। ছোট জন এসেছিলেন অভিনয়ে। খুব কম সময়ের মধ্যেই একাধিক সিরিয়াল, টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে ফেলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। আরো অনেক কাজ করার ছিল। একটু সুস্থ হয়েই সেটে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু বিধাতা এতটুকুই কাহিনি লিখে রেখেছিলেন তাঁর জন্য।
হাসপাতাল থেকে কুদঘাটে আসার সময়ে শববাহী গাড়ির সামনেই দেখা গিয়েছিল নিশ্চুপ সব্যসাচীকে। কিন্তু ঐন্দ্রিলার শায়িত মরদেহের পাশে দেখা মেলেনি তাঁর। টেকনিশিয়ান স্টুডিওতেও দূরে দাঁড়িয়েছিলেন সব্যসাচী। শেষযাত্রায় ঐন্দ্রিলার সঙ্গী হয়েছিলেন তিনি।