বাংলাহান্ট ডেস্ক: মানুষ চলে যায়, কিন্তু তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানান স্মৃতি, তাঁর কাজ রয়ে যায় মৃত্যুর পরেও। মাত্র ২৪ টা বছরের আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। ওই তরুণ বয়সেই প্রচণ্ড যন্ত্রণা কাকে বলে সেটা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। তাও একবার নয়, একাধিক বার লড়াই করে সুস্থ জীবনে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তৃতীয় বারে আর ফেরা হল না তাঁর।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই বাকি জীবনটা কাটানোর চেষ্টা করছেন তাঁর বাবা,মা, দিদি, সব্যসাচী। ভেঙে পড়েছেন সকলেই, তবুও একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে আর ঐন্দ্রিলার কথা ভেবে শক্ত থাকার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু ঐন্দ্রিলার দুই সন্তান বোজো আর তোজোর কষ্ট চোখে দেখা যাচ্ছে না।
দুই পাগ বোজো শর্মা আর তোজো শর্মা, নিজের সন্তানের মতোই তাদের ভালবাসতেন ঐন্দ্রিলা। দুই চারপেয়ে সদস্য মাতিয়ে রাখত গোটা বাড়ি। বোজো তোজোর সমস্ত দায়িত্বও নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দুই পোষ্যরও জগৎটাও ছিল মাকে ঘিরেই। সেই মাকে বিগত দু সপ্তাহ ধরে দেখতে পাচ্ছে না বোজো তোজো।
প্রয়াত ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বোজো তোজো দুজনেই অস্থির হয়ে রয়েছে। পাগলের মতো খুঁজে চলেছে মাকে। কলিং বেল বাজলেই ছুটে যাচ্ছে দরজার দিকে, এই বুঝি মা এল। ঐন্দ্রিলার মা জানান, ছোটজন অর্থাৎ তোজোর শরীর খুবই খারাপ। ইউরিন দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল তার।
পোষ্যদের জন্য ঐন্দ্রিলা কোন চিকিৎসক দেখাতেন তা জানেন না শিখা শর্মা। তাই সব্যসাচীকেই একটি ওষুধের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন তিনি। ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। সেটা দেওয়ায় কিছুটা সুস্থ হয়েছিল তোজো। কিন্তু কিছুদিন আগে আবারো তোজোর স্টুল দিয়ে ব্লিডিং হয়।
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াতে জানা যায়, অত্যন্ত মানসিক চাপে তোজো। প্রয়াত ঐন্দ্রিলার মা জানান, তোজো সবথেকে ছোট হওয়ায় সেই সবথেকে কাছের ছিল মেয়ের। সবসময় ঐন্দ্রিলার কাছে কাছেই থাকত তোজো। অন্য কারোর কাছেই যেত না।
মানুষ তাও মনের কষ্ট মুখে প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু এই অবলা প্রাণীদের দুঃখ বুঝবে কে? ঐন্দ্রিলার পরনের জামা কাপড় দিয়েই নাকি আপাতত শান্ত রাখা হয়েছে বোজো তোজোকে। অভিনেত্রী বিছানাতেই ঘুমিয়েছিল দুজনে। নতুন চাদর পাততে আঁচড়ে কামড়ে ছিঁড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা করেছিল। বোজো তোজোকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলার পরিবার।