বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজো শেষ হতেই দুঃসংবাদ পেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma)। চলে গেলেন অভিনেত্রীর খুব কাছের মানুষ ‘দুষ্টুমা’। এক মায়ের কৈলাসে চলে যাওয়ার কষ্টের মাঝেই আরেক মাকে হারানোর যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন ঐন্দ্রিলা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই দুষ্টুমাকে স্মরণ করে আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুষ্টুমায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ঐন্দ্রিলা। সঙ্গে একটি আবেগঘন পোস্ট। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আজ আমার খুব কাছের মানুষকে হারালাম। দুষ্টুমা। আমাকে সবসময় বলতো তোর থেকে আমি শক্তি পাই, তুই আমার অনুপ্রেরণা। আমি যখন দিল্লি থেকে প্রথম কেমো নিয়ে এলাম। আমাকে বললো “মনা আমাদের জীবন তো অত সুখের না, কিন্তু আমরা লড়কে লেঙ্গে।”
কিন্তু লড়াইটা আর শেষ হলো না। আমার চোখে দেখা সাহসী মানুষ, সবসময় হাসি মুখে লড়ে গিয়েছে। আমাকে নিজের কষ্টগুলো শেয়ার করত, আর বলত অন্য কেউ তো আর বুঝবে না। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না দুষ্টুমার নম্বরে ফোন করলে আর দুষ্টুমার গলাটা শুনতে পারব না। আমাকে বলেছিল একদিন শ্যুটিং দেখতে যাবো, সেটা আর হলো না। বিশ্বাস করতে পারছি না দুষ্টুমাকে আর কোনোদিন দেখতে পাবো না, কিন্তু আমার হৃদয়ে তুমি থাকবে চিরকাল। তোমায় খুব ভালোবাসি দুষ্টু মা।’
https://www.instagram.com/p/CVGURfSvXwT/?utm_medium=copy_link
ঐন্দ্রিলা নিজেও দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন মারণ রোগের সঙ্গে। পরপর দুবার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে চলেছেন সমস্ত যন্ত্রণা, নিজের প্রিয় মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে। মহালয়ার দিনই কেমোথেরাপির তারিখ ছিল ঐন্দ্রিলার।
সেই যন্ত্রণা সহ্য করেই প্রেমিক সব্যসাচীর কাছে আবদার করেছিলেন ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পুজোর উন্মাদনায় ভিড়ে ভিড়াক্কার শহরে নামজাদা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা দর্শন করতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। কিন্তু মা দুগ্গা বিষন্ন মনে ফিরতেও দেননি তাঁদের। এক নির্জন ছোট্ট মণ্ডপেই আটপৌরে মায়ের মতো উমাকে দর্শন করেছিলেন ঐন্দ্রিলা সব্যসাচী।