বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) চতুর্দিকেই এখন শত্রুরা ক্রমে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। চিনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আগে থেকেই চিন্তার ভাঁজ ছিল কূটনীতিকদের কপালে। এখন আবার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তান তো রয়েছেই ধুনো দেওয়ার জন্য। দীর্ঘদিনের মিত্র তথা সবসময় সাহায্যকারী ভারতের (India) অবদান ভুলে গিয়ে এখন পাকিস্তান আর চিনের সুরেই সুর মেলাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশকে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি কতটা প্রতিকূল হতে পারে ভারতের জন্য?
ভারত (India) সীমান্তে চিনের শক্তি প্রদর্শন
সীমান্তে কতটা বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে ভারতের (India) জন্য? চিন এবং পাকিস্তানের আগ্রাসন কতটা চিন্তার কারণ হতে পারে দেশের জন্য, সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। মঙ্গলবার এক সেমিনারে চিনের বায়ুসেনার শক্তি নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরোধিতায় ভারত (India) কতটা প্রস্তুত তাও জানান তিনি।
উন্নত যুদ্ধ বিমান এসেছে চিনের হাতে: উত্তর পশ্চিম সীমান্তে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন যা ভারতের (India) ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হতে পারে। এপি সিং বলেন, দেশের সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে চিন। সম্প্রতি ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমান বহর তৈরি করেছে চিন, যা টেক্কা দিয়েছে আমেরিকাকেও। সেখানে ভারত (India) এখনো পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। অর্থাৎ চিনের থেকে এখনো কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
আরো পড়ুন : Bangladesh: পেটে নেই ভাত, অথচ বিদেশ থেকে কামান কিনে বাহিনী সাজাচ্ছে বাংলাদেশ, নেপথ্যে কে নাড়ছে কলকাঠি?
কী বললেন এপি সিং: এদিন বায়ুসেনা প্রধান বলেন, চিনের সামরিক শক্তির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। তারা প্রযুক্তির দিক দিয়েও এগিয়ে গিয়েছে। এদিন আত্মনির্ভরতার কথা বলে এপি সিং মন্তব্য করেন, ‘আমাদের নিজেদেরই সাহায্য করতে হবে। নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সমস্যাটা বুঝি, কোন সমস্যা তাড়া করছে সেটাও বুঝি। আমরা যা বুঝতে পারছি না, তা হল চলার পথে কীভাবে ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে। ২০৪৭ এর লক্ষ্যে কীভাবে পৌঁছাতে হবে’।
আরো পড়ুন : আরো কাছাকাছি এভি-কথা, গল্পের গতি বাড়িয়ে মা হবেন নায়িকা! বড় টুইস্ট আসছে সিরিয়ালে
এদিকে এপি সিং বলেন, ২০০৯-১০ সালে অর্ডার করা ৪০ টি তেজস যুদ্ধ বিমানের প্রথম ধাপও এখনো পাওয়া যায়নি। এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান। উৎপাদন বৃদ্ধি করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।