‘চোখে দেখা যায় না…’, কফিনবন্দি হয়ে ফিরল পাইলট সুমিতের দেহাংশ, হাউহাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ বাবা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃদ্ধ বাবার দেখভালের জন্য পাইলটের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল সুমিত সভরওয়ালের (Pilot Sumit Sabharwal)। সেই ফিরলেন তিনি, তবে কফিনবন্দি হয়ে। এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১, আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়া ‘অভিশপ্ত’ বিমানের দক্ষ পাইলট। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ২৪১ জনের মধ্যে নাম ছিল পাইলট সুমিত সভরওয়ালেরও (Pilot Sumit Sabharwal)। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বাড়িতে পৌঁছাল তাঁর দেহাংশ। কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ বাবা।

বাড়িতে দেহাংশ এসে পৌঁছায় পাইলট সুমিত সভরওয়ালের (Pilot Sumit Sabharwal)

পাইলট হিসেবে কাটিয়েছেন দীর্ঘ কর্মজীবন। দক্ষ পাইলট হিসেবে নামডাক ছিল সুমিতের (Pilot Sumit Sabharwal)। এদিনও আহমেদাবাদ থেকে শেষবারের মতো বিমানে করে মুম্বই পৌঁছালেন তিনি। বা বলা ভালো, তাঁর দেহাংশ। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে অধিকাংশ দেহই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। মাত্র কয়েকটি দেহই শণাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দেহগুলি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকরণ চলছে। পাইলট সুমিতের (Pilot Sumit Sabharwal) দেহও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই শণাক্ত করা হয়।

Air india plane pilot sumit sabharwal mortal remains came to his home

ছেলের মরদেহের সামনে ভেঙে পড়েন বাবা: কফিনবন্দি হয়েই সুমিতের দেহাংশ মুম্বই পৌঁছায় প্রথমে। তারপর তা নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। সেখানেই অপেক্ষারত ছিলেন সুমিতের (Pilot Sumit Sabharwal) অশীতিপর বাবা পুষ্পক সভরওয়াল এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই বাকশক্তি হারিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ছেলের কফিনের সামনে এদিন হাউহাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ।

আরো পড়ুন : মীনাক্ষীর পর DYFI-এর মুখ কে? রাজ্য সম্পাদক পদ নিয়ে পার্টির অন্দরেই শুরু দড়ি টানাটানি

এদিনই হয় শেষকৃত্য: বাড়িতে ঘন্টাখানেক রাখা হয়েছিল সুমিতের (Pilot Sumit Sabharwal) দেহ। তারপর তা নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চাকালা শ্মশানে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের নামী ব্যবসায়ী নিরঞ্জন হিরানন্দানি এবং কয়েকজন স্থানীয় বিধায়ক। এদিনই শেষকৃত্য হয় পাইলট সুমিত সভরওয়ালের (Pilot Sumit Sabharwal)।

আরো পড়ুন : পহেলগাঁও নিয়ে চুপ, প্যালেস্টাইনের জন্য প্রাণ কাঁদছে স্বরার! তীব্র ধিক্কারের মুখে অভিনেত্রী

মুম্বইয়ের পাওয়াইয়ের বাসিন্দা সুমিতের ছিল একাই ৮২০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা। অত্যন্ত সুদক্ষ পাইলট হিসেবে খ্যাতি ছিল তাঁর। তবে বাবার দেখভাল করার জন্য চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কথাও দিয়েছিলেন বাবাকে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রাখা হল না সুমিতের।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।