বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের মত আমাদের শহর কলকাতার (kolkata) বায়ুদূষণ (air pollution) ও একটা বিরাট সমস্যা। লকডাউনে যখন পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের প্রকৃতি নির্মল হয়েছে, সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি তিলোত্তমা। পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকবছরে এত পরিশুদ্ধ বায়ুতে নিঃশ্বাস নেয় নি শহরবাসী।
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) কেন্দ্রীয় পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) অনলাইন পোর্টালের রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণ করেছে এবং দেখা গেছে যে ২২ শে মার্চ ও এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পিএম ২.৫ গড়ে সাপ্তাহিক শহর গড় ৫৮% হ্রাস পেয়েছে। ক্ষেত্রে নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO2) এর, একই সময়ে শহর গড় গড় 74% হ্রাস পেয়েছে।
পাশাপাশি, নাসার উপগ্রহ চিত্র বলছে ২০ বছর পর ভারতের(india) বায়ুদূষণ কমেছে। যার প্রধান কারণ অবশ্যই লকডাউন, পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের কারনে ভারতের বাতাসে ভাসমান এরোসেল এতখানি কমেছে যে ভারতের আকাশ ২০ বছর আগের মত নির্মল হয়েছে। বায়ুদূষণের অতি ক্ষুদ্র কণা যা আমাদের আবহাওয়া মন্ডলে চাপা পড়ে থাকে। এই কণা কঠিন পদার্থেরও হতে পারে বা তরল গ্যাসীয় পদার্থ দিয়েও তৈরি হতে পারে। মেঘ এবং কুয়াশাও একধরনের এরোসোল।
ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (NASA) সুপার কম্পিউটারগুলি দ্বারা উত্পন্ন আবহাওয়ার (Weather) মানচিত্রগুলি দেখায় যে এই বছর ভারতে দূষণ ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর যথেষ্ট কম।
পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) কম হলে নীল হল স্কেলের নীচের প্রান্ত, এবং এটি যত বেশি হয় – তত লাল হয়। গত বছর, ভারতে 30 মার্চ 2019 তে লালচে রঙের তুলনায় , এই বছর আকাশ বেশিরভাগই নীল দেখায়। এমনকি মাটি থেকেও আকাশ যথেষ্টই নীল দেখা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছিল মুম্বাইয়ের পরিষ্কার নীল আকাশের ছবি। যা স্পষ্ট প্রমাণ করে দূষণ এর করাল গ্রাস কাটিয়ে উঠছে বাণিজ্য নগরী। পাশাপাশি রাজধানী শহর দিল্লিতে a.q.i এর স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।