বাংলা হান্ট ডেস্ক : মায়ানমারের মায়ানমারে (Myanmar) এক গ্রামে বিমানহানা চালাল সেদেশেরই সেনা। মঙ্গলবারের ওই হানায় নারী ও শিশু-সহ ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দেশের সেনার বিরোধী গোষ্ঠী এদিন পাজিয়াগি গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে বিরোধীদের একটি পার্টি অফিসের উদ্বোধনের কথা ছিল। সেখানেই হামালা চালায় বিমানবাহিনী। ওই হামালার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে মায়ানমার সেনা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ পাজিয়াগি গ্রামের ওই অনুষ্ঠানে বোমা ফেলে মায়ানমার সেনা। নিহতদের মধ্য রয়েছেন বহু মহিলা। কমপক্ষে ২০-৩০ জন শিশুরও প্রাণ গেছে এই হামলায়। তালিকায় রয়েছেন সেনা বিরোধী আন্দোলনকারী নেতারাও। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানের সময় প্রথমে আকাশে একবার হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে যায়। আধঘণ্টা পরে সেখানে এসে বোমা ফেলে যায় ফাইটার জেট। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সংবাদমাধ্যমকেও। তাই মৃতের সংখ্যা সঠিক কত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মায়ানমারের সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই জায়গাতে আমরাই হামলা চালিয়েছি। এদিন ওই গ্রামে সকাল আটটা নাগাদ একটি পার্টি অফিস খোলার কথা ছিল। ওখানবে কাজ করছে দেশের সরকার বিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভমেন্ট। তাদের সশস্ত্র সংগঠন পিপিলস ডিফেন্স ফোর্স এদিন একটি সভা করছিল।
ওই সভায় অনেকেই সাধারণ মানুষের পোশাক পরে ছিল বলে দাবি সেনার। বিমানহানার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। প্রসিডেন্ট অ্যান্তনিও গুতেরেস সাধারণ মানুষের উপরে এমন হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে, একে নারকীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই ধরনের হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে কাচিন প্রদেশে গানবাজনার আসরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছিল জুন্টা। সেই ঘটনাতেও অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই প্রদেশের আদিবাসী বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্টা সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল। তারপরই সেখানে হামলা করে সেনা।