বাংলাহান্ট– ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থার এয়ার ইন্ডিয়া ৯৪ টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে পরিসেবা প্রদান করে। এয়ার ইন্ডিয়া ১৮.৬% বাজার শেয়ারের সাথে ভারত থেকে ভারতের বাইরে উড়ান পরিচালনার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থা। এয়ার ইন্ডিয়া চারটি মহাদেশে ৬০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে উড়ান সরবরাহ করে। ইন্ডিগো এবং জেট এয়ারওয়েজের পরে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গার্হস্থ্য বিমানসংস্থা এটি।
এই রাষ্ট্রায়াত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থার লোকসানের মুখে পরেছিল অনেকদিন আগেই। ২০০৭-০৮ সাল থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের সাথে যৌথ ভাবে ব্যবসা করেও লাভের মুখ দেখেনি সংস্থাটি। গত দশ বছরে এয়ার ইন্ডিয়া প্রায় ৬৯৭০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কেবলমাত্র গত অর্থবর্ষে এই বিমান সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ ৫৫৫৬ কোটি টাকা। বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাভিয়েশন (CAPA) সংস্থার তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই অর্থবর্ষে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়ার ঘুরে দাঁড়ানো এখনো প্রশ্নের মুখে।
২০১৯ লোকসভার বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনায় অধিকাংশ মতামতই এয়ার ইন্ডিয়ার এই ঋনের বোঝা বহন করার বিপক্ষে গিয়েছিল। অপরদিকে এয়ার ইন্ডিয়া ২০০০ কোটি টাকা লোন এবং ৮১৯ মিলিয়ন ডলার লোন পরিশোধের সাহায্যের জন্য দরখাস্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, যা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রকের বিচারাধীন রয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর সরকারের তরফ থেকে লোন পরিশোধের গ্যারান্টি শেষ হতে চলেছে। এই নির্ধারিত সময়ের আগে সরকার পক্ষ কোনো আশ্বাস না দিলে এয়ার ইন্ডিয়ার ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন উঠবে বলার অপেক্ষা রাখে না।