বাংলা হান্ট ডেস্ক : মাস কয়েক আগেই e-SIM চালু হয়েছে দেশে। কমবেশি প্রতিটা টেলিকম সংস্থাই তাদের গ্রাহকদের e-SIM দেওয়ার জন্য প্রস্তত। যদিও দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আজও ফিজিক্যাল সিম ব্যবহার করেন। তবে এবার Bharti Airtel তার ৩৫ কোটি ইউজারকে মেল করে জানালো e-SIM কেনার কথা। কেন এই তৎপরতা? কী সুবিধা রয়েছে e-SIM এর?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের ফোনে ফিজিক্যাল সিম এবং e-SIM এর দুটো অপশনই থাকে। তবে সচরাচর সবাই ফিজিক্যাল সিম-ই বেশি ব্যবহার করে থাকেন। e-SIM থাকার সুবিধা হল, আপনি তা ফোনে এমবেড করে নিলেই হয়ে যাবে। আপাতত স্মার্টফোনেই দেখা যায় e-SIM এর ব্যবহার। সম্প্রতি Airtel-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোপাল ভিত্তল জানিয়েছেন, ফিজ়িক্যাল সিমের পরিবর্তে e-SIMই ভাল। কেন ভালো সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
e-SIM ঠিক কী
e-SIM এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি বারবার খুলতে এবং লাগাতে হয়না। এটি আপনি সরাসরি ফোনে এমবেড করে নিতে পারবেন। এতে রয়েছে একটি সফটওয়্যার যা ডিভাইসের eUICC চিপে ইনস্টল করা থাকে। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রসেসও রয়েছে। এবং সবথেকে বড় সুবিধা হল, এতে ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : এক রিচার্জে সারা বছরের টেনশন থেকে মুক্তি! ঝটপট দেখে নিন Jio-Airtel এর এই দুটি সেরা প্ল্যান
e-SIM কেন জরুরি: গোপাল ভিত্তল কী বলছেন ?
1) সম্প্রতি এয়ারটেল তার গ্রাহকদের যে ইমেইল পাঠিয়েছে তাতে গোপাল ভিত্তল বলেছেন, e-SIM ফিজিক্যাল সিমের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয় এবং এটি ব্যবহার করাও সহজ।
2) গোপাল ভিত্তলের কথায়, বিভিন্ন ডিভাইসে e-SIM স্যুইচ করা এবংফিজ়িক্যাল থেকে তা স্থানান্তর করার কাজ এতটাই সহজ যে গ্রাহকরা নিমেষের মধ্যেই সেটা করে ফেলতে পারবেন।
3) পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে চোর বা যিনি ফোন কুড়িয়ে পেয়েছেন তিনি চাইলেও সিমকার্ড খুলে ফেলতে পারবেননা। এতে করে সেই ডিভাইসটিকে খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ হবে।
আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়ে গড়েছিলেন নজির, প্রয়াত হলেন ফতিমা বিবি
4) এইদিন Airtel-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, গ্রাহকরা এখন থেকেই ফিজিক্যাল সিমকে e-SIM এ কনভার্ট করতে পারবেন। তবে তার জন্য ডিভাইস এমন হতে হবে, যা e-SIM সাপোর্ট করে। e-SIM সক্রিয় করার জন্য গ্রাহকদের যেতে হবে এয়ারটেল থ্যাঙ্কস অ্যাপে। উল্লেখ্য, হালফিলের সময়ে iPhone থেকে শুরু করে স্যামসাং, মোটোরলা, ওয়ানপ্লাস-সহ আরও একাধিক ব্র্যান্ড e-SIM সাপোর্টেড স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে।