বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের সুন্দরী ও প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্যতম নাম ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (aishwarya rai bachchan)। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। তেমনি একাধিক বিতর্কেও জড়িয়েছে ঐশ্বর্যের নাম। ২০০৮ সালে পাক রাজনীতিবিদ আসিফ জারদারির সঙ্গে নাম উঠে এসেছিল অভিনেত্রীর।
ঐশ্বর্যর সৌন্দর্য ও অভিনয়ের অনুরাগী ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি। এমনকি পাক মুলুকে অনুষ্ঠান করার জন্য অভিনেত্রীকে ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিতেও রাজি ছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের দাবি, একটি পুরনো ভিডিওতে পাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শাহিদ মাসুদ নাকি এমনটাই দাবি করেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যম সুত্রে খবর, মাসুদ নাকি দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ভারতের একজন নামী অভিনেত্রীকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমন কোনো চাক্ষুষ প্রমাণ নেই যা দাবি করে যে ঐশ্বর্য সত্যিই পাক মুলুকে কোনো গোপন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন, তাও আবার টাকার বিনিময়ে। কিন্তু বিতর্কটা নিয়ে খুব মুষড়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী
প্রসঙ্গত, গত বছর পানামা পেপার্স লিক মামলায় নাম জড়িয়েছিল ঐশ্বর্যর। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির জামনগর দফতরে টানা ছয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় বচ্চন পরিবারের বধূকে। অভিনেত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে কয়েকটি প্রশ্ন প্রকাশ্যে আসে যা সম্ভবত ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের তরফে।
২০০৫ সালে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে অ্যামিক পার্টনার্স নামে একটি সংস্থার পত্তন হয়েছিল। এই সংস্থার সঙ্গে ঐশ্বর্যর কি কোনো যোগাযোগ রয়েছে? এই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ঐশ্বর্য ছাড়াও রয়েছে তাঁর প্রয়াত বাবা, মা ও ভাইয়ের নামও। এই বিষয়ে কী বক্তব্য রয়েছে অভিনেত্রীর?
উল্লেখ্য, প্রথমে কোম্পনির মূলধন ছিল ৫০ হাজার ডলার। ১ ডলার করে প্রত্যেক ডিরেক্টরের কাছে ১২ হাজার ৫০০ শেয়ার ছিল। ডিরেক্টর পদ থেকে হঠাৎ শেয়ার হোল্ডার পদে কেন এলেন ঐশ্বর্য? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ইডির তরফে। ২০০৮ সালে আচমকা কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কেন? আর্থিক লেনদেনের জন্য রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি কি নেওয়া হয়েছিল? এসব প্রশ্নই করা হয়েছিল ইডির তরফে।