বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত দখলের কর্মসূচিতে নীরবে অংশগ্রহণ করলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)। ১৪ ই অগাস্টের পর বুধবার রাতে ফের দেওয়া হয়েছিল রাত দখলের ডাক। উপরন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা আর্জি জানিয়েছিলেন, তিলোত্তমার জন্য বিচারের দাবিতে রাত নটা থেকে দশটা ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে পথে নেমে আসার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। সেখানেই সাধারণের মাঝে দেখা গেল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে (Ajay Chakraborty)।
প্রতিবাদে অংশ নিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)
৫ ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা ছিল আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) মামলার। তার আগের রাতে অন্ধকার থেকে আলোয় চলোর কর্মসূচি পালন করেন আরজিকর এর জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের মাঝেই উপস্থিত ছিলেন সত্তরোর্ধ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)। হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি। ছেলে অঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনিও পা মেলালেন প্রতিবাদ মিছিলে।
আরো পড়ুন : Web Series: নিমেষে মন ভালো করবে ছাত্রজীবনের ওঠা পড়ার এই গল্পগুলি, রইল ৪ ওয়েব সিরিজের হদিশ
সাধারণের ভিড়ে মিশে হাঁটলেন মিছিলে
কয়েক মাস আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)। শরীর মনে পড়েছে বয়সের ছাপ। কিন্তু নিজে একজন মেয়ের বাবা হয়ে আরেকজন মেয়ের যন্ত্রণা তাঁকে বাড়িতে বসে থাকতে দেয়নি। তাই ছেলের সঙ্গে তিনিও নেমে এসেছিলেন রাজপথে। না, কোনো সেলিব্রিটি হিসেবে নয়। মোমবাতি হাতে জনতার ভিড়ে মিশেই এদিন প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
আরো পড়ুন : Swastika Mukherjee: প্রতিবাদ মিছিলে হেসে ভাইরাল, ‘বেশ করেছি হেসেছি, যত ট্রোল করবি কর’, পালটা স্বস্তিকার
প্রতিবাদে নজির গড়ছে কলকাতা
আরজিকর কাণ্ড যেন একসূত্রে বেঁধে দিয়েছে বাংলার মানুষকে। সকলে একজোট হয়ে সোচ্চার হচ্ছেন প্রতিবাদে। রোজ রোজ নজির গড়ছে এই রাজ্য। তিলোত্তমার মৃত্যু যেন সকলের চেতনা জাগ্রত করে দিয়েছে। গোলাপ ফুল আর প্রতীকী মেরুদণ্ড হাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অহিংস লালবাজার অভিযান থেকে শুরু করে এদিন অন্ধকারে ঢাকা শহর কলকাতা নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছে। বৃহস্পতিবার শুনানির দিন পেছোলেও মানুষ হাল ছাড়তে রাজি নন।
৪ ঠা অগাস্ট রাতে আরজিকরে সাংবাদিক বৈঠক করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা মা। একগুচ্ছ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন তাঁরা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা থেকে টাকা অফার করাল মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন তাঁরা। এমনকি তিলোত্তমার বাবা জানান, মেয়ের দেহ সৎকারে অদ্ভূত তাড়া ছিল পুলিশের। শ্মশানের টাকা কে দিয়েছে এতদিনে সেটাও জানেন না তিনি।