বাংলাহান্ট ডেস্ক : নব্বইয়ের দশকের সবথেকে জনপ্রিয় জুটি শাহরুখ কাজল (Shahrukh Kajol)। বছরের পর বছর কেটে গেলেও সিনেপ্রেমীদের মধ্যে এই জুটির জনপ্রিয়তা কোনোদিন ফিকে হয়নি আর হবেও না। সেই ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ থেকে ‘দিলওয়ালে’ পর্যন্ত, তাঁদের নিয়ে ক্রেজ ছিল একই রকম। কিন্তু অনস্ক্রিনে প্রেম করতে করতে কি কখনো অফস্ক্রিনে পা হড়কেছে শাহরুখ কাজলের (Shahrukh Kajol)?
শাহরুখ কাজলের (Shahrukh Kajol) জুটি নিয়ে কী বক্তব্য ছিল অজয়ের
আজও বহু অনুরাগী চান, শাহরুখ কাজল (Shahrukh Kajol) যেন বাস্তব জীবনেও জুটি হন। এমনকি নব্বইয়ের দশকের বহু কিশোর কিশোরী একটা সময় পর্যন্ত জানতেন, বাস্তবেই বুঝি কাজল শাহরুখের স্ত্রী। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রীর বাস্তব জীবনের স্বামী অজয় দেবগণের কী বক্তব্য ছিল? তিনি নিজেও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। স্ত্রীকে কি তিনি বুঝেছিলেন?
বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা: জানলে অবাক হবেন, শাহরুখ কাজল (Shahrukh Kajol) জুটির এই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় একসময় হাঁপিয়ে উঠেছিলেন অজয়। বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য একজন পুরুষের জুটির এত চাহিদা তিনি মানতে পারেননি। যতই হোক না সে অনস্ক্রিন। শোনা যায়, একবার কাজলের সঙ্গে একটি ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করবেন কিনা তার জন্য অনুমতি চাইতে অজয়ের কাছে গিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তাঁর উপরে ফেটে পড়েন অভিনেতা।
আরো পড়ুন : এই বয়সেই এত বান্ধবী! ‘চ্যাম্পিয়ন’ ইউভানের কীর্তিতে গর্বিত রাজ-শুভশ্রী
কাজ বন্ধ রেখেছিলেন শাহরুখ কাজল: অজয় নাকি তাঁকে ইমেল খুলে দেখিয়েছিলেন, কত মানুষ চায় তিনি এবং কাজল যেন আলাদা হয়ে যান। শাহরুখের (Shahrukh Kajol) সঙ্গে অভিনেত্রীর জুটির জনপ্রিয়তার কারণে অজয়ের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য জীবনে জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। এই বিতর্ক থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছিলেন অজয়। তাই তিনিই বলেছিলেন, শাহরুখ কাজল (Shahrukh Kajol) জুটি যেন আর একসঙ্গে কোনো ছবি না করেন।
আরো পড়ুন : থামল তবলার বোল, ICU-র লড়াই শেষে প্রয়াত কিংবদন্তি জাকির হুসেন
তবে সেই নিষেধাজ্ঞা যে তিনি বেশিদিন রাখতে পারেননি তার সবথেকে বড় প্রমাণ হল দিলওয়ালে। দীর্ঘদিন পর শাহরুখ কাজল জুটি পর্দায় ফিরতেই দর্শক উপচে পড়েছিল সিনেমা হলে। আসলে পর্দায় যতই রোম্যান্স করুন না কেন, বাস্তবে শাহরুখ কাজল বেস্ট ফ্রেন্ড। দুজনের মধ্যে খুনসুটি বেশ উপভোগ করেন তাঁদের ভক্তরাও। অজয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক অনেক সহজ হয়েছে শাহরুখের। কিং খান এও বলেছিলেন, মানুষ অনেক কিছুই বলে। কিন্তু তার প্রভাব পেশাগত জীবনে পড়তে দেওয়া যাবে না।