জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সম্প্রতি কাউকে না জানিয়েই কাশ্মীর ঘাঁটিতে পৌঁছে গেছিলেন। হটাৎ কাশ্মীর ঘাঁটিতে রওনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য সামনে আসতে শুরু হয়েছে। সকলে নিজের নিজের মতো করে অজিত ডোভালের পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। অনেকে বিষয়টিকে আতঙ্কবাদ দমনের দৃষ্টিকোন থেকে দেখছে। অনেকে আবার ঘাঁটি থেকে ধারা 370 ও 35A বিলুপ্তির দৃষ্টিকোন থেকে দেখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে ঘাঁটিতে ১০ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে সরকারের উদেশ্যকে জানার জন্য মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাঁটিতে একটা বড়ো আতঙ্কবাদী হামলার বিপদের আগাম অনুমান করে NSA অজিত ডোভাল সুরক্ষা এজেন্সিদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন। আতঙ্কবাদী হামলার উপর প্রস্তুত থাকার জন্যেই সেনাকে মজবুত রাখতে বলা হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা সরকার কোন বড়ো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর আগেও পুলবামা হামলার পর কাশ্মীর ঘাঁটিতে বেশি সংখ্যায় সেনা নিযুক্ত করা হয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক সম্পন্ন করা হয়েছিল।
তখনও কাশ্মীরের সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে সৈন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার ও সেনার পরিকল্পনা ছিল অন্য। এক্ষেত্রেও কাশ্মীর ঘাঁটির উপর সরকার বড়ো কোনো পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করা হচ্ছে। 35A ও 370 বিলুপ্তকরন অথবা জম্মু-কাশ্মীরকে ৩ টি আলাদা রাজ্যে বিভক্ত করা , এই দুটি বড়ো কার্য সরকার করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। যদিও সরকার এখন কাশ্মীর ঘাঁটির উপর বড়ো কোনো বিবৃতি দেয়নি। অবশ্য J&K থেকে ধারাগুলি বিলুপ্ত করা হতে পারে এই আশঙ্কা নিয়ে মেহেবুবা মুফতির মতো নেত্রীরা আক্রোশ প্রকাশ করেছেন।