বাংলা হান্ট ডেস্ক :চার দিনের মাথায় আবারও মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন নাটক। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বুধবার আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার পরেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজিত পাওয়ার। শপথ গ্রহণের তিন দিনের পর মঙ্গলবার দুপুরে অজিত পাওয়ারের ইস্তফাকে ঘিরে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
এমনিতেই আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার পর বিজেপি শিবিরে সিঁদুরে মেঘ ঘোরা ছিল কিন্তু তার উপরে আবার অজিত কোহলির পদত্যাগ কার্যত আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি তৈরি করল।তবে পদত্যাগের পর তিনি কোন দলে যাবেন? এখনও অবধি সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত স্পষ্ট তা জানানো হয়নি।
তবে যেহেতু ভাইপো অজিত পাওয়ার কে দল থেকে বহিষ্কার করেননি তাই আবার কাকার এনসিপি তেই ফিরতে পারেন অজিত পাওয়ার এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বুধবার বিকেল টার পর মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট গঠন করতে হবে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয় এরপর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বাস ভবনে জরুরি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার
অজিতের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর এক প্রকার বিজেপির সঙ্গে সমর্থন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু হঠাত্ বৈঠক থেকে বেরিয়ে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত অবধি অজিত পাওয়ারের সমর্থন ছিল এনসিপি র দিকে কিন্তু শনিবার সাত সকালেই আবার সমর্থন চলে যায় বিজেপির দিকেই, আবারও মঙ্গলবার বিজেপির সমর্থন এড়িয়ে চললেন।
তাই মহারাষ্ট্রে সরকার সংগঠন আবারও এক নতুন গল্পের সূচনা করলেও এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্য দিকে, যেহেতু দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে সরাসরি লাইভ সম্প্রচারের ভোট দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তাই খানিকটা হলেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেবেন্দ্রদেরে কপালে কিন্তু তার উপরে আবার অজিত পওয়ারের ইস্তফা, বিজেপির ভীত যে একটু হলেও নড়বড়ে হলে তা বলাই যায়।
অন্যদিকে য়েহেতু আগে থেকেই ভাপোর দলে ফিরে আসার ব্য়াপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন শরদ পাওয়ার, তাই তাঁর আশা খানিকটা হলেও পূর্ণ হল, তবে বিজেপি বিরোদী দলগুলি অজিতের ঘোষনার পরে যে নতুন করে শ্বাস নিতে শুরু করেছে তা বলাই যায়
ReplyForward |