‘গোহত্যা করেছি,আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে!’, প্ল্যাকার্ড হাতে আত্মসমর্পণ আকবরের, চাঞ্চল্য যোগিরাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের গোহত্যা (Cow Slaughter) নিয়ে চাঞ্চল্য যোগিরাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অযোধ্যা (Ayodhya) জেলায় গোহত্যা এক অভিযুক্ত এক ব্যক্তি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। অভিযুক্তের নাম আকবর আলী। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতে আত্মসমর্পণ প্ল্যাকার্ড নিয়েই থানায় পৌঁছন। গতকাল শনিবার আকবর তার অপরাধ স্বীকার করে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

পুরো ঘটনা শুনে পুলিস অভিযুক্তকে আটক করে। তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। গোহত্যার এই মামলাটি দায়ের করা হয় ১০ ​​নভেম্বর ২০২২ সালে। এই মামলায় অভিযুক্ত হন আকবর আলীর স্ত্রীও। তাঁকে পাঠানো হয় সংশোধনাগারে। কিন্তু ফেরার হয়ে যান আকবর।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বিষয়টি থানা রুদৌলির। এই থানাতেই গরু হত্যা মামলায় প্রায় দেড় বছর ফেরার ছিলেন আকবর আলী। হঠাৎই এদিন পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। গতকাল ৮ই জুলাই রুদৌলিতে থানা দিবসের আয়োজন করা হয়। এই জেলার একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এরই মধ্যে আত্মসমর্পণের পোস্টার বুকে সাঁটিয়ে পুলিসের সামনে পৌঁছান আকবর। পোস্টারে আকবর আলী নিজেকে গো হত্যায় অভিযুক্ত দাবি করেন। তিনি নাকি এদিন শপথ নেন আর কোনোও দিন কোনও অপরাধ তিনি করবেন না।

cow

অভিযুক্ত আকবর ডিএসপি সত্যেন্দ্র ভূষণকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গোহত্যার অভিযোগ রয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী জেলে রয়েছেন। আর কোনোও অপরাধ আমি করব না। পুলিসের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, তাই আমি আত্মসমর্পণ করছি।’ এর পরই পুলিস আকবর আলীকে হেফাজতে নেয়।

আইনিবিধি সম্পূর্ণ করে অভিযুক্তকে হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিসের দাবি, গোহত্যার মামলা ২০২২ সালের নভেম্বরে নথিভুক্ত করা হয়। এটা ছাড়াও, আকবর আলীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে আবগারি আইন এবং ২০২৩ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ এ-র অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর, ২০২২, রুদৌলি থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিনয় কুমার যাদব আইথার গ্রামের ৩ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে গোহত্যার মামলা দায়ের করেন। এরপর তারা ৮০ কেজি গরুর মাংসসহ আকবর আলীর স্ত্রী সাজিদাকে পাকড়াও করা হয়। তাঁরই সঙ্গে মোহাম্মদ মবিন ও মোহাম্মদ মেরাজকেও আটক করা হয়।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর