বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা তার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর এবার দেশের প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মন্ত্ৰী অখিল গিরি (Akhil Giri)। “প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।” ঠিক এমনই মন্তব্য করলেন অখিল। মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) বিজেপির (BJP) পালটা সভা করে তৃণমূল (TMC)। সেখান থেকেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নেন অখিল গিরি। বৃহস্পতিবার রামনগর আরএসএ ময়দানের মাঠের এই সভায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষের সুরে বিঁধলেন বিধায়ক অখিল গিরি। প্রসঙ্গত গত রবিবার এই মাঠেই সভা করেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এদিন বঙ্গ সহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন শাসকদলের মন্ত্রী। কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, “পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে লরিতে করে লোক নিয়ে এসে মাঠ ভরানো হল। সুকান্ত মজুমদার কাঁচকলা করবেন! এখানে এত শক্তি দেখাতে আসবেন না। আর আজকের সভায় বিজেপির তুলনায় অন্তত দু’গুণ বেশি লোক হয়েছে । রামনগর বিধানসভার ১৭ টি অঞ্চলেই তৃণমূল রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও আমাদের দখলে। ক্ষমতা থাকলে বিজেপি মোকাবিলা করে দেখাক। লড়াই করে দেখাক। ফেস-টু-ফেস লড়াই হোক।”
এরপরই ভ্যালেন্টাইন্স ডের প্রসঙ্গ উঠে আসে মন্ত্রীর গলায়। ভরা সভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল ভালোবাসা দিবস, ছেলে-মেয়েরা প্রেম করে । গোলাপ ফুল দেওয়া-নেওয়া হয়। একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ ফুল দিয়ে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। পুরো পড়ে গিয়েছে। ভাগ্যিস গরু ছিল, ষাঁড়কে ধরেননি প্রধানমন্ত্রী, ধরলে ষাঁড় গুতিয়ে দিলে পেটে লেগে যেত, তারপর ফুস!”
মন্ত্রীর সংযোজন , “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে নরেন্দ্র মোদি গরুকে আঁকড়ে ধরেছেন, কী সুন্দর! আগামী ২৪-এ গুঁতো খাবে। যাতে উলটে পড়বে প্রধানমন্ত্রী মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে পাঠিয়ে দেবে।” প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতায় সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বলেন, “একটা মোস্ট থার্ড ক্লাস দল। দুর্নীতি করতে করতে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওদের কথায় কান দিয়ে আমাদের লাভ কী। ওদের মতো আমাদের তো আর অভিনেতা দেখিয়ে লোক ডাকতে হয়নি। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের। তাই ভুল-ভাল কথা বলছেন।”