বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া ছেলে যেন না হয়, ছোট থেকেই আরভকে পয়সার মূল‍্য বুঝতে শিখিয়েছেন অক্ষয়

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরপর দু বছর ফোর্বস ম‍্যাগাজিনে সবথেকে ধনী তারকাদের তালিকায় নিজের স্থান দখল করেছেন অক্ষয় কুমার (akshay kumar)। স্বাভাবিক ভাবেই ধনী হওয়ার পাশাপাশি তিনি বলিউডের অন‍্যতম ব‍্যস্ত তারকাও বটে। আগামী অন্তত দু বছরের শিডিউল তৈরি করা থাকে অক্ষয়ের। এক একটি ছবির জন‍্য পারিশ্রমিক নেন কয়েক কোটি টাকা।

অপরদিকে এখন আর অভিনয় না করলেও কম সম্পত্তির মালকিন নন স্ত্রী টুইঙ্কল খান্নাও। কিন্তু অতুল ঐশ্বর্য থাকা সত্ত্বেও সন্তানদের হাতে অত‍্যন্ত কম টাকা তুলে দেন অক্ষয়। অন‍্যান‍্য তারকা সন্তানদের মতো অক্ষয় পুত্র আরভকে (aarav) খুব কমই দেখা যায় বলিউডের পার্টিতে। ছেলেকে কড়া শাসনে বড় করে তুলছেন অক্ষয়।

Twinkle Khanna with son Aarav Bhatia
কারণ তিনি চান না আরভ বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া সন্তানদের মতো হোক। অক্ষয় নিজে অত‍্যন্ত পরিশ্রম করে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করেছেন। এক সময় তিনিই ছিলেন ‘বহিরাগত’। আজ সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় তিনি এই উচ্চতায় উঠেছেন। প্রতিটি পয়সার মূল‍্য বোঝেন অক্ষয় টুইঙ্কল। নিজেদের শিক্ষাতেই শিক্ষিত করতে চান তাঁরা দুই ছেলেমেয়েকে।

শোনা যায়, মার্শাল আর্টে ব্ল‍্যাক বেল্ট পাওয়ার পরেই ছেলেকে প্রথম বার বিমানের বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিলেন অক্ষয়। নিজে তিনি বলিউড পার্টি থেকে দূরেই থাকেন। আরভকেও সেই শিক্ষাতেই বড় করছেন আক্কি। একবার টুইঙ্কল আরভের ছোটবেলার একটি ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন।

Akshay Kumar ram mandir
টুইঙ্কল জানান, একবার ছেলে আরভ খুব অদ্ভূত একটি প্রশ্ন করেছিল তাঁর কাছে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, “মা আমরা এত বড়লোক কেন?” ছেলের জিজ্ঞাসায় প্রথমে অবাক হলেও তার মনের অবস্থাটা বুঝতে পেরেছিলেন টুইঙ্কল। সবসময় টাকা থাকলেই যে সুখ কেনা যায় এমনটা নয়। অঢেল টাকার অধিকারীও মন থেকে খুশি নাও হতে পারে।

টুইঙ্কল বলেছিলেন, “রুপোর চামচ যখন মুখে নিয়ে জন্মেছ তখন তার যত্ন আর মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও তোমাকেই নিতে হবে। চামচ যদি রুপোর না হয়ে প্লাস্টিকের হয় সেটাও সামলানোর দায়িত্ব তোমার।” টুইঙ্কল আরো বলেছিলেন, চামচ প্লাস্টিকের হোক বা রুপোর, যখন খাবার খাবে সেই খাবারের ভাগ তাদেরও তুলে দেবে যাদের দেখার কেউ নেই।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর