বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে তারকা সন্তান ও বহিরাগতদের নিয়ে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। এই ঝামেলার কারনে কার্যত দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা। করন জোহর ও তাঁর নেপোটিজম নিয়ে তুমুল ট্রোল, সমালোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম (nepotism), ‘বুলিং’ এইসব বিষয় চর্চায় উঠে এসেছে। বহু তারকাই মুখ খুলেছেন বিষয়গুলি নিয়ে। করন জোহর, একতা কাপুর, ভূষন কুমার, সলমন খান সহ ‘মুভি মাফিয়া’দের বিরুদ্ধে বারে বারে সোচ্চার হচ্ছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তারা। এমতাবস্থায় অক্ষয় কুমারের (akshay kumar) পুরনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, অপর এক অভিনেতার জন্য রাতারাতি সিনেমা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
জানা যায়, কেরিয়ারের শুরুর দিকে অক্ষয়কেও স্বজন পোষনের শিকার হতে হয়। ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছবি থেকে একেবারে শেষ সময়ে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেন, “ফুল অউর কাঁটে ছবিতে প্রথমে আমিই ছিলাম। সিনেমার সেটে আমি বসে থাকতাম। যত গান হয়েছে সবকটাতে নাদিম শ্রবনের সঙ্গে আমিই ছিলাম। গানের অনুশীলন চলছিল। আমি অন্যদিকে বসে শুনছিলাম।”
অভিনেতা আরও বলেন, “বেশ কিছু ফটোশুট ও গানের শুটিংয়ের সময়েও আমিই ছিলাম। দুদিন কেটে গেল। রাতে সবকিছু গোছগাছ করে রাখছিলাম কারন সকালে শুটিং ছিল। তখনই ফোনে আমাকে বলা হল, পরেরদিন আর না আসতে। আমার বদলে অন্য কেউ আসছে।”
অক্ষয়ের জায়গায় অজয় দেবগণকে নেওয়া হয়েছিল ছবিতে। বক্স অফিসে হিটও হয় এই ছবি। উল্লেখ্য, অজয় দেবগণের বাবা বীরু দেবগণ ছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত স্টান্টম্যান। অপরদিকে অক্ষয় তখন দিল্লি থেকে আসা একজন আউটসাইডার। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময় স্বজন পোষনের শিকার হতে হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে ‘সুগন্ধ’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন অক্ষয় কুমার। তারপরের বছরেই মুক্তি পায় ‘খিলাড়ি’। এই ছবি অভিনেতার কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। এখন বলিউডের প্রথম সারির তথা সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম অক্ষয় কুমার।