বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুক্তির অনেক আগে থেকেই চর্চায় অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ‘পৃথ্বীরাজ’ (Prithviraj)। সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবন কাহিনির উপরে ভিত্তি করে তৈরি ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৩ রা জুন। তার আগেই আবারো কর্ণি সেনার (Karni Sena) বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পৃথ্বীরাজকে।
এই নিয়ে একধিক বার অক্ষয়ের ছবির অসন্তোষ প্রকাশ করল কর্ণি সেনা। সাম্প্রতিক সময়ে ফের বিক্ষোভ শুরু হলে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় ছবি নির্মাতারা। রাতারাতি বদলে গিয়েছে ছবির নাম। পৃথ্বীরাজ থেকে বদলে হয়েছে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’।রাজপুত সমাজের ভাবাবেগকে সম্মান করেই প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসের তরফে ছবির নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল অর্থাৎ ২৭ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় প্রযোজনা সংস্থার তরফে। জানানো হয় ছবির নাম পরিবর্তনের কথা। একাধিক বার আলোচনার পর শেষমেষ রাজপুতদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে তাদের অনুরোধ রাখতেই এই বদল বলে জানানো হয়েছে।
পৃথ্বীরাজ ছবির ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই বারে বারে কর্ণি সেনার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে নির্মাতাদের। সর্বপ্রথমে কর্ণি সেনার তরফে নির্মাতাদের শাসানি দেওয়া হয়েছিল, পৃথ্বীরাজ ছবির নাম না বদলালে ‘পদ্মাবত’ এর মতো অবস্থা হবে। সেবার যুব সভাপতি সুরজিৎ সিং রাঠোর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ছবির পুরো কাহিনিই ‘মহান’ পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবনের উপর ভিত্তি করে লেখা, তাহলে ছবির নাম শুধু পৃথ্বীরাজ কেন রাখা হল?
এ তাঁকে এক রকম অসম্মান করা বলেই মত ছিল কর্ণি সেনারর যুব সভাপতির। তিনি আরো শাসিয়েছিলেন, যদি ছবির নাম পরিবর্তন না করা হয় তবে পদ্মাবত ছবির সঙ্গে যা করা হয়েছিল এই ছবির সঙ্গেও তাই হবে। তবে সেবার এই শাসানি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ছবি নির্মাতারা।
এরপর ফের গত ফেব্রুয়ারি মাসে সক্রিয় হয় কর্ণি সেনা। তাদের দাবি ছিল, ছবিতে ইতিহাসকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সম্রাট পৃথ্বীরাজের চরিত্রটিকে অশ্লীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ কর্ণি সেনার। এতে হিন্দুদের ধর্মাবেগে আঘাত হানা হয়েছে।
শেষমেষ একাধিক বার বিক্ষোভের মুখে পড়ে নিজেরাই অবস্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিলেন নির্মাতারা। আগামী ৩ রা জুন প্রেক্ষাগৃহে আসছে সম্রাট পৃথ্বীরাজ। এখন দেখার বিষয়, তার আগে আবার নতুন করে কোনো ঝামেলায় জড়ায় নাকি অক্ষয়ের ছবি।