বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইয়াসের পর মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসম্মান প্রদর্শন করেছেন এই তত্ত্বে জোর দিচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি বিরোধীদলীয় নেতাদের কেন মিটিংয়ে ডাকা হল। এরই মাঝে অন্য একটি ঘটনাতেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব দুজনেই। আর তারপরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে পাঠানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে তাকে ছাড়তে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাফ কথা, রাজ্যের করণা নিয়ন্ত্রণ ও বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন আলাপন। তাকে সরিয়ে নিলে রাজ্যের চলবে কি করে?
এরই মধ্যে বেশ ফাপড়ে পড়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চাকরি জীবনের শেষ পর্বে এসে এ ধরনের সমস্যা প্রভাব ফেলতে পারে তার অবসর জীবনের সরকারি সাহায্য সুবিধার উপরে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত দিল্লি থেকে আসেনি কোন উত্তর। এখন কোন দিকে যাবেন তিনি? তা নিয়েই বেশ চিন্তায় রাজ্যের মুখ্য সচিব। সোমবার সকাল দশটার মধ্যে নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করতে হবে আলাপন বাবুকে। তাই আশু সমাধান না হলে যথেষ্ট মুশকিল। এরই মাঝে আজ সস্ত্রীক নবান্নে উপস্থিত হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিজের দপ্তরে পৌঁছান তিনি। যদিও এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলতে রাজি নয় রাজ্য সরকার।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, দীঘা উন্নয়ন বোর্ডের কাজ দেখভাল করবেন আলাপন। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের চাকরি থেকে শেষ পর্যন্ত যদি স্বেচ্ছাবসর নিতে তাহলে তাকে নিশ্চিত ভাবেই বিশেষ কোন পদে চাইবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবান্নকে একইসঙ্গে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তার উত্তরে শনিবার চিঠি পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের কর্মী বর্গ বিভাগের তরফেও। ঠিক কি কারণে মুখ্যসচিবকে এখনই ছাড়া যাচ্ছে না তারও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। সাধারণত এই সমস্ত ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোন নির্দেশ এখনো আসেনি। অন্যদিকে আইনি লড়াইয়ের কথাও জানিয়ে রেখেছেন মমতা। কাল মুখ্যমন্ত্রীর ইয়াস সংক্রান্ত রিভিউ মিটিংয়ে বিকেলবেলা উপস্থিত থাকার কথা আলাপনবাবুর। এখন কি হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।