বাংলাহান্ট ডেস্ক : মদ খাওয়া নিয়ে বাড়িতে অশান্তি যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল চারোয়া পরিবারে। রোজ রাতে ছেলের মদ খেয়ে বাড়ি ফেরা, তারপর বাবা মায়ের সঙ্গে অশান্তি। এই ছিল নিত্তনৈমিত্তিক রুটিন। কিন্তু কাল হল এই নেশাই। মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় থান ইঁট দিয়ে বাবার মাথা থেঁতলে খুন করল ছেলে। গতকাল মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিন মেন্দাবাড়ি এলাকায়। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে কালচিনি থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই বৃদ্ধের নাম মগধা চারোয়া (৬৫)। জানা যাচ্ছে প্রতিদিনই মদ্যপান নিয়ে অশান্তি চলত বাড়িতে। শুক্রবার রাতেও মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে বছর ছত্রিশের অনিল চারোয়া। যথারীতি সেদিনও প্রতিবাদ করেন বাবা মগধা চারোয়া। আর তারপরই বাবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলে। চলে এলো পাথারি মারধর। শুধু তাইই নয়, একটি ইঁট দিয়ে সে থেঁতলে দেয় বৃদ্ধ বাবার মাথাও। শনিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্য হয় আহত বৃদ্ধের।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মদ্যপান নিয়ে কারও কথাই শুনত না অনিল। উলটে প্রতিদিনই গালিগালাজ করত বাবা মাকে। শুক্রবার রাতে হঠাৎই বাবার উপর চড়াও হয় সে। ইঁট দিয়ে লাগাতার মারতে থাকে বাবার মাথায়। এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার সকালে মারা যান তিনি।
পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কালচিনি থানার পুলিশ। আজ আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হবে অনিল চারোয়াকে। এহেন ঘটনার জেরে স্বভাবতই ভয়াবহ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মদ্যপানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, স্থানীয় যুবকরা চরম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, ফলে সামাজিক অধঃপতন ঘটছে তাদের। প্রশাসনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।