খুনের চেষ্টা, চুরি সহ ১১টি মামলায় অভিযুক্ত! জানেন আলিয়ার গিয়াসউদ্দিনের অপরাধের ইতিহাস?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উপাচার্যকে চরম অশ্লীল গালাগালি, মারধর এবং খুনের হুমকির অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। প্রাক্তন এই টিএমসিপি ইউনিট মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা গ্রেপ্তার এই প্রথম নয়। এর আগেও জেলে যেতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই ছাত্রনেতা?

শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান গিয়াসউদ্দিন এবং তাঁর দলবল। সেখানেই উপাচার্যকে চুড়ান্ত অশ্লীল ভাষায় গালাগালির সঙ্গেই মারধর এমনকি খুনের হুমকি অবধি দেন তিনি। বাদ পড়েনি তুই-তোকারিও। আর ভাইরাল হয় এই মুহুর্তের একটি ভিডিওই। শিক্ষাক্ষেত্রে নজিরবিহীন এহেন ঘটনায় কার্যতই স্তম্ভিত গোটা রাজ্য। চূড়ান্ত শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলেই।

ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও অনুশোচনার লেস মাত্র দেখা যায়নি ধৃত ওই ছাত্রের মধ্যে। বরং নিজের দাবিতেই অনড় ছিলেন তিনি।

জানা যাচ্ছে ওই ছাত্রের আসল বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। ২০১৩ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরত্তি হওয়ার পর ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। তৎকালীন উপাচার্যকে হেনস্থা, আটকে রাখা, দুই রেজিস্ট্রারকে মারধর, ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, পুলিশকে হেনস্তা প্রভৃতি মারাত্মক অভিযোগে ১৯ দিনের জেল হেফাজত হয় তাঁর। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাসপেণ্ড করে দেওয়া হয় গিয়াসউদ্দিন সহ আরও ৫ জনকে। শুধুমাত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত দরকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তাঁদের। কিন্তু এর পরও এদিন কীভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকলেন তিনি তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি কর্মীকে বাধা, সংগঠিত অপরাধ,চুরি সহ ১১টি ধারায় মামলা রয়েছে ধৃত ছাত্রনেতার নামে। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলাই জামিনের অযোগ্য বলেই খবর। নিউটাউনের মহম্মদপুরের একটি মেস থেকে গিয়াসউদ্দিনকে রবিবার গ্রেপ্তার করে টেকনোসিটি থানার পুলিশ।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর