বাংলা হান্ট ডেস্ক: এমনিতেই করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর কারণে তোপের মুখে পড়েছে চিন। ইতিমধ্যেই এই অদৃশ্য মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। ঠিক সেই আবহেই এবার কি ফের বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে চিন? অন্তত সম্প্রতি সামনে আসা একটি রিপোর্টে সেই আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, বর্তমানে সন্দেহজনক একটি সিগন্যালকে নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, চিন দাবি করেছে যে, তারা নাকি ভিনগ্রহীদের উপস্থিতি টের পেয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এলিয়েন তথা ভিনগ্রহীদের নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলে আসছে। এমনকি এলিয়েনদের আকৃষ্ট করার জন্য ইতিমধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তরফে নগ্ন মানুষের ছবিও পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। মূলত, এলিয়েনদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতেই খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এমতাবস্থায় এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে চিন।
তারা জোরালোভাবে জানিয়েছে যে, বিশালাকার স্কাই আই টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারা নাকি পৃথিবীর বাইরেও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিনা সরকারের অধীনস্থ একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংবাদপত্রে এই প্রসঙ্গে একটি রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই সেটি আবার ওয়েবসাইট থেকে মুছেও ফেলা হয়। জানা গিয়েছে, ওই সংবাদপত্রটি চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সরকারি সংবাদপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। যেই কারণে বিষয়টি নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে বিজ্ঞানীদের।
পাশাপাশি এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আরও একবার সংশ্লিষ্ট বিষয়টি গবেষণা করে দেখতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই চাইনিজ অ্যাক্যাডেমি অফ সায়েন্সস, ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরি, বেজিং নরমাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের প্রধান বিজ্ঞানী ঝাং টোঞ্জিকে।
পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে ঝাং বলেছেন ,ওই সিগন্যালের সত্যতা যাচাই করার জন্যই আরও একবার বিষয়টি ভালোভাবে অনুসন্ধান করে দেখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করার সাথে সাথেই কেন সেটি মুছে ফেলা হল এই বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না কারোর কাছে। এমনকি স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। যদিও, ওই রিপোর্ট মুছে দেওয়া হলেও চিনের সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এমনকি, এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও। সত্যতা না থাকলে কিভাবে এই বিষয়টি সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হল সেই বিষয়টিও জানতে চান তাঁরা। পাশাপাশি, ব্লুমবার্গ নিউজের তরফে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চিনের গুইঝো প্রদেশে স্কাই আই নামের একটি টেলিস্কোপ চালু করা হয়। মূলত ৫০০ মিটার লম্বা এই টেলিস্কোপটি এলিয়েন সভ্যতার সন্ধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, এই চাঞ্চল্যকর দাবির পেছনেও উঠে এসেছে এই টেলিস্কোপের নাম।