CBI-র নজরে এবার মহিলা এজেন্টরা! একে একে ডাকা শুরু, আজই বিরাট কিছু ঘটতে চলেছে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজো শেষ! ফের ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’র দুর্নীতি মামলায় ফের কোমর বাঁধল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পেয়েছিল সিবিআই। জানা যাচ্ছে, দুর্নীতির তদন্তে মঙ্গলবার ১২ জন মহিলা এজেন্টকে তলব করেছিল সিবিআই। আর আজ থেকেই ফের সক্রিয় গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর বুধবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ঠিকানা রেলের গেস্ট হাউসে এদিন হাজিরা দেন ওই ১২ জন মহিলা। শোনা যাচ্ছে আজ এই মামলায় নতুন করে অভিযানে নামবে সিবিআই। তাই গতকাল এজেন্টদের তলব করে তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে অক্টোবর মাসে এই সমবায় সমিতির ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরী ও হিসাবরক্ষক শম্পা চৌধুরীর বাড়িতে হানা দেয় CBI. তল্লাশি চালিয়ে নানা নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়।

প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের এই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ওই জেলার বহু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি। বিগত তিন বছর ধরে ওই আর্থিক তছরুপের (Money siphoning case) তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পরও তার কোনও কিনারা করতে পারেনি সিআইডি (CID)। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে যায় মামলা।

এরপর CID তদন্তের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই এর হাতে মামলার তদন্তভার তুলে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সবমিলিয়ে যার পরিমাণ মোট ৫০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: শীতের জোরসে কামড়! দক্ষিণবঙ্গের এই ৪ জেলায় ১৭ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা, আবহাওয়ার বড় খবর

বিনিয়োগকারীদের থেকে নেওয়া ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটিয়ে পরে সঠিক সময়ে সকলে ফেরত পাবেন জানানো হয়েছিল সেই সংস্থার তরফে। টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে CID. যদিও সিআইডি তদন্তের কিনারা করতে না পারায় তা যায় সিবিআই এর হাতে তুলে দেন বিচারপতি।

পরে বিচারপতির সেই রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি। সেই আর্জি মঞ্জুর করা তো দূর, উল্টে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যকেই ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল থাকে। এরপরই আদালতের নির্দেশে জোর তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।