বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাজ্যজুড়ে বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতন তথা ধর্ষণের (Rape) ঘটনা। রাস্তাঘাটেও নিরাপদ নন মেয়েরা। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের এক গ্রামে বিকেলের দিকে টিউশন যাচ্ছিল একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখেই সুযোগ বুঝে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের মধ্যে।
আলিপুরদুয়ারে নাবালিকার যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে ধর্ষণ (Rape)
তারপর সেখানেই নাবালিকার ওপর করা হয় অকথ্য যৌন নির্যাতন (Rape)। এমনকি ওই সময় নাবালিকার যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়েও অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর অকথ্য যৌন নির্যাতনের (Rape) পর নির্যাতিতা এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি।
যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে আঘাত করায় ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের পর নির্যাতিতা এখন ভালো আছে। পরিবার সূত্রে খবর রবিবার বিকেলে টিউশন পড়তে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই নাবালিকা। যাওয়ার পথেই জাতীয় সড়কে ওঠার ঠিক আগে পড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ওই বিদ্যালয়ের পিছনেই রয়েছে একটি জঙ্গলে ঘেরা জায়গা। ফাঁকা রাস্তায় স্কুল ছাত্রীকে ওই জঙ্গলের মধ্যেই টেনে নিয়ে গিয়ে গিয়ে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। এমনকি কিশোরীর যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়েও আঘাত করা হয়।সেসময় নির্যাতিতা প্রচন্ড যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলে সেই সময়ই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। পরিবারের লোকজন জানান মেয়েটির যৌনাঙ্গ থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে দেখে প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয় পরে তাকে হাসপাতালে সান্তরিত করা হয়। বর্তমানে নাবালিকার অবস্থার স্থিতিশীল।
তবে নির্যাতিতার এই যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ রাস্তার পাশে ওই জঙ্গলে প্রায়ই মদের আসর বসায় দুষ্কৃতীরা। তাই এই অবস্থায় স্থানীয় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।