বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ার একটি ছোট্ট জেলা। লোকসভা কেন্দ্রও একটি। উনিশে এখানে লোকসভা নির্বাচনে জয়জয়কার হয়েছিল বিজেপির। বিধানসভা কেন্দ্র পাঁচটি। একুশের বিধানসভায় গোটা রাজ্যে সবুজ ঝড়ের মাঝেও পাঁচে পাঁচ বিজেপি।
লোকসভা ও বিধানসভার নিরিখে আলিপুরদুয়ার তৃণমূল-শূন্য জেলা। গেরুয়া ঝড়ে মাতোয়ারা পাহাড়ি এই জেলা। মঙ্গলবার সেই আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের দলীয় সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমায় গালাগালি দিন। আমায় যতো খুশি দোষ দিন। কিন্তু বিজেপির কথায় তৃণমূলকে ভুল বুঝবেন না দয়া করে।’
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি মমতার গলায় ছিল তাঁর দলের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরানোর ডাকও। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই বোঝা গিয়েছিল আলিপুরদুয়ার ও সংলগ্ন জেলায় তৃণমূলের গণভিত্তি ধসছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে শাসকদলের কঙ্কালসার দশা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
এদিনের কর্মীসভা থেকে KLO-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও’। তাঁর সফরের আগেই একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিং। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে এনিয়ে তোপ দাগলেন মমতা।
তিনি আরও বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১২ হাজার পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন অথচ পাট্টা পাননি, তাঁরাও পাট্টা পাবেন। উদ্বাস্তু কলোনির লোকেরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আমরা উচ্ছেদ করব না। তাঁরাও ধীরে ধীরে পাট্টা পেয়ে যাবেন।’ এই সভা থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বিজেপি জিতেছে। জেতার পর থেকেই উচ্ছেদ করতে শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি এখন সব জায়গায় উচ্ছেদ করছে। যেখানে দেখবেন উচ্ছেদ করছে সেখানেই প্রতিবাদ করবেন। কারণ উচ্ছেদ করার ক্ষমতা নেই ওদের।’ বুধবারও অনেককে পাট্টা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি বিজেপিকে জালিয়াত ও ভেজাল সরকার বলেও কাটক্ষ করেছেন তিনি। এছাড়া সভা থেকে বিজেপিকে হঁশিয়ারিও দিয়েছেন।