কথা রাখেনি প্রশাসন, মুখই দেখাতে পারছি না, ভোট চাইব কিভাবে? TMC পঞ্চায়েত সদস্যের সিদ্ধান্তে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)।ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া সকল রাজনৈতিক দল। এরই মধ্যে ভোটে দাঁড়াবেন না বলে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য (Trinamool Panchayat Member)। কারণ কী? জানা গিয়েছে, প্রতিশ্রুতি দিলেও তৈরি হয়নি নদী বাঁধ। তাই মুখ নেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার।

আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের ঘটনা। সূত্রের খবর, সেখানে নদী ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাড়ি। ঘোর সমস্যায় পড়ে বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও মেলেনি সুরাহা। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাসকদলের এক পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস।

জানিয়ে রাখি, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। গত বছর ধরে কালকূট নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় ঘোর বিপদে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি থেকে নিয়ে বাড়ি। গত পঞ্চায়েতের আগে এই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি কোনো কাজ।

এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলকে কটাক্ষ করতে বাকি রাখেনি বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসন থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করেনি প্রশাসন।

alipurduar

আশ্বাস দিলেও কাজ না হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না ওই পঞ্চায়েত সদস্য। এই কারণেই ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার কথায়, “মুখ দেখাতে পারছি না। প্রায় ৬০টা পরিবারের অবস্থা খারাপ। আমার বাবারই ৪০ বিঘা জমি চলে গিয়েছে। বিঘা দেড়েক জমি পড়ে রয়েছে। সেটাও এবার যাবে। এবার ভোটও চাইতে যেতে পারব না। ভোটে দাঁড়াব না।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর