শঙ্খের ধ্বনির মধ্যে থাকে অদ্ভুত শক্তি, দূর হয় অমঙ্গল

শাঁখ বলতেই আমাদের মাথায় প্রথম যেই খেয়াল আসে তাই হলো একটা শুভ ইঙ্গিত। অর্থাৎ যে কোনো শুভ কাজে আমরা এর ব্যবহার করেছে থাকি। সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের শাঁখকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে স্নেহের চিহ্ন হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। হিন্দুরা প্রায় প্রত্যেকেই শাঁখ ব্যবহার করেন। সনাতন ধর্মে সমস্ত বৈদিক রচনায় শঙ্খের গুরুত্ব অনেক, শাঁখ দিয়ে সব শুভ কাজের সূচনা হয়ে থাকে মূলত । শঙ্খ হ’ল ভগবান বিষ্ণুর প্রধান অস্ত্র। আবার পুরান ঘেঁটে দেখতে গেলে আরো অনেক কিছুই জানা যাবে। দক্ষিণমুখী শঙ্খ সমুদ্র মন্থনের সময় সমুদ্র থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।

দক্ষিণমুখী শঙ্খের শীর্ষটি চন্দ্র দেবতার বাসস্থান, মাঝখানে বরুণ, পিছনে ব্রহ্মা এবং সামনের দিকে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী বলে বিশ্বাস করা হয়। আর সেই পুরান অনুযায়ী ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে শঙ্খটি বিভিন্ন রূপে বসে আছে এবং দেবতাদের উপাসনায় পবিত্র বলে বিবেচিত হয়,

IMG 20200430 WA0028

কারণ এটি দেবতাদের সন্তুষ্ট করার এক অনর্থক উপায়। এর পবিত্র জল তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত হয়।শঙ্খকে বিজয়ের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুরুতে শঙ্খ বাজানো হয়। আবার কথায় আছে নাকি শঙ্খ এর শব্দে জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় পাশাপাশি মন শুদ্ধ হয়। মনের শান্তি হয় শঙ্খ এর জল খুব পবিত্র বলে মনে করা হয়।

লক্ষ্মী ঠাকুরের আগমন ঘটে শঙ্খ ধ্বনিতে। যে শঙ্খ জল দিয়ে স্নান করে সে সমস্ত তীর্থস্থানে স্নানের ফল পায়। শঙ্খ যেখানে থাকে সেখানে ভগবান লক্ষী সহ ভগবান শ্রী হরি চিরকাল বাস করেন।


সম্পর্কিত খবর